কচুয়াবার্তা .কম : ০৫/০৫/২০১৫
কচুয়া বার্তা ডেস্ক রিপোর্ট: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। ভারতের নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের মতে, সামাজিক অনেক ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, তারাই আজ বলছেন, বাংলাদেশ মিরাক্কেল। পৃথিবীর প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র উঠে এসেছে।’
ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ‘আরএমজি টেক্সটাইল এবং ট্রেনিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ৫ মে মঙ্গলবার এ সব কথা বলেন প্রধান অতিথি তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং জার্মান কোম্পানি এসএপি ট্রেনিং একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ, খাদ্যের কোনো অভাব নেই। বাংলাদেশ চাল রফতানি শুরু করেছে। নেপালের দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জার্মান প্রতিষ্ঠান সিস্টেম এ্যাপ্লিকেশন প্রোডাক্ট (এসএপি) তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্সিং প্রভৃতি বিষয়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করবে বলে জানানো হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একক দেশ হিসেবে জার্মান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। জার্মানীতে প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করে থাকে। কাজেই জার্মানীর সিস্টেম এ্যাপ্লিকেশন প্রোডাক্ট (এসএপি) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও সফটওয়্যার খাতে অবদান রাখার সুযোগ পাবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এক নম্বরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জার্মানীর অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি বছর প্রায় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি হয়ে থাকে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাক রফতানিকারকরা বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিঞ্জ, বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ব্যবসায়ী তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিঞ্জ বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক গুণগত মানে উন্নত। জার্মানীর ক্রেতারা এ দেশের পোশাকের প্রতি আগ্রহী।’ বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে জার্মানীর বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে এসএপি। ওষুধ, মিডিয়া, ব্যাংকিং, চেইন শপ, বিপণনসহ প্রায় ১৭টি খাতে ব্যবসা সহায়ক সফটওয়্যার তৈরি করেছে জার্মানের এ কোম্পানি। বিশ্বের ৪০টি দেশে কোম্পানির শাখা রয়েছে।
Leave a Reply