পরিত্যাক্ত শৌচাগার ভেঙে দোকান নির্মান ॥ কচুয়ায় প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন
নিজস্ব সংবাদদাতা ॥
কচুয়া উপজেলার জগৎপুর বাজারে পরিত্যাক্ত শৌচাগার ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদে মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের জগৎপুর বাজারে সচেতন ছাত্রসমাজ ও স্থানীয় জনগনের আয়োজনে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংগ্রহনকারীগন জানান ,ওই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে ইব্রাহীম প্রভাব খাঁটিয়ে ২০২৩ সালে সড়কের পাশে থাকা পরিত্যাক্ত শৌচাগার ভেঙ্গে ওই স্থানে দোকান ঘর নির্মান করে। এতে টয়লেটের অভাবে বাজার ব্যবসায়ীদের অনেক সমস্যা হইতেছে। তাছাড়া দোকোনের পিছনে কৃৃষি অফিসটিও বেদখল হওয়ার উপক্রম। দোকান ঘর ভেঙ্গে শৌচাগার নির্মান করা না হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অচিরেই ওই স্থানে গণশৌচাগারটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানান।এ সময় ছাত্র সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আল হাসান নাহিদ, রোকনুজ্জামা মিলন, শামীম হোসেন, আবু সুফিয়ান ও বাজার ব্যবসায়ী নূর হোসেন।
সংবাদ পেয়ে কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জিয়াউল হক বলেন এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর স্মারকলিপি প্রদান করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সচেতন ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইব্রাহীম খলিল আমার জগতপুর মৌজার বিএস ১৫৪৮ দাগে ৩ .১শতাংশ খরিদ করা করা সম্পত্তির উপর আমি দোকান নির্মান করেছি। আমার সম্পত্তির মধ্যে পরিত্যক্ত টয়লেট ছিল, প্রতিদিন বখাটে ছেলেরা এখান থেকে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করতো ও মাদক সেবন করতো।ওই সময় জগতপুর বাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জগতপুর বাজারে আমার নিজ অর্থায়নে যে কোন জায়গা ব্যবস্থা করে দিলে আমি জনগনের সুবিধার জন্য টয়লেট নির্মাণ করে দিবো বলে জানিয়েছি। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাষ জানান জগতপুর বাজারের আরো ৩টি শৌচাগার আছে যা বিভিন্ন সমস্যার কারেন ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি হস্থক্ষেপ নিয়ে জনদুর্ভোগ লাগবে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, সরকারি সম্পত্তির উপর যদি কেউ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে তাহলে খুব শীগ্রই আমরা তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply