কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মতলব দক্ষিন উপজেলার মেহারন সংলগ্ন কাঠালিয়া বিলে প্রায় ৩ শত একর পাকা ধানের জমি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছ সংবাদ পেয়ে ১৬ মে সোমবার ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ।দৈনিক জনকন্ঠ ,চাঁদপুর কন্ঠ সহ অন্যান্য পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওইদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোতাছেম বিল্যাহ ,উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: সোফায়েল হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওই মাঠ পরিদর্শন করেন। তিনি জানান জরুরী ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করে ধান কাটা,হার্বেস্টার মেশিন দিয়ে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালু করেছি ,বিল থেকে আলিয়ারা যাতায়তের সুবিধার জন্য খালের উপর ব্রীজ নির্মানের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দশ প্রদান করা হয়েছে।
কৃষকগন বলেন সারা বছরে একটি মাত্র ফসল ইরি ধান। যা দিয়ে ওই এলাকার কৃষকদের সারা বছর চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্র করে কৃষকরা। মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাবার নেই রাস্তা। বৃষ্টি ও বোয়ালজুড়ি খালের জোরাখালের জোয়ারের পানি মাঠে ঢুকে পড়েছে। চারপাশের দশ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার কৃষক বিএডিসি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ওই মাঠে বহু বছর যাবত ধান ফসল চাষ করে আসছে। মাঠের পুর্ব পাশ দিয়ে উত্তর দক্ষিনে রয়েছে প্রবাহমান বোয়ালজুড়ি খাল। ওই খালের পানি দিয়ে বিএডিসি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদ কাজ চলছে। মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ করে নিয়ে আসার জন্য খালের উপর কোন ব্রীজ না থাকায় চলাচলের জন্য বাঁশের নির্মিত অস্থাযী সাঁকো দিয়ে খাল পারাপার হতে হয়। বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি মাঠে প্রবেশ করলে সে পানি নিস্কাশনের নেই কোন ব্যবস্থা । রবিবার সরেজমিনে গেলে কৃষক ও সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান এত কষ্টের পাকা ধান বৃষ্টি ও বিলের মধ্যখানে জোরা খালের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে । কোন কোন কৃষক মাঠের মধ্যখানে খড় কুটা দিয়ে উচু করে পাকা ধান সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। কৃষক বিমল সরকার জানান মাঠের মধ্যখানে কাঠালিয়া থেকে আলিয়ারা পর্যন্ত মাঝ বরাবর একটি রাস্তা নির্মান ,খালের পারে রাস্তা মেরামত ও বোয়ালজুড়ি খালের উপর পাকা ব্রীজ নির্মান করলে ধান সংগ্রহ করা সম্ভব। তাছাড়া মাঠের ভিতর পানি প্রবেশ বন্ধ করতে পারলে বা পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যা হতোনা। এ পর্যন্ত ওই বিলের মাত্র ১শত একর জমির ধান সংগ্রহ করা সম্বভ হয়েছে। বাকী ২শত একর জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকে ওই এলাকার কৃষকগন। তাই কৃষকগন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে কৃষকদের ধান চাষাবাদ ও পাকা ধান সংগ্রহ করতে রাস্তা ও ব্রীজ নির্মানের দাবী জানান। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান সোমবার পর্যন্ত কাঠালিয়া বিলের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ধান কাটা হয়েছে। অতিরিক্ত শমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে কৃষকের ধান কাটা শেষ হবে।
ছবি: কচুয়া উপজেলার কাঠালিয়া বিলে পাকা ধান কাটছে কৃষক পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাঠ পরিদর্শনের একাংশ।
Leave a Reply