কচুয়ায় স্ত্রীকে নিতে এসে ৪ দিন ধরে শিকলে বন্ধি স্বামী ও ছেলেকে উদ্বার করতে এসে বাবাও আটক। কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রামসোনা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে শিপন শনিবার রাতে তাঁর বিবাহিতা স্ত্রী হালিমা বেগমকে শশুর বাড়ি কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে (পাতর বাড়ি) নিতে আসে।
হালিমা বেগম ও তাঁর পরিবারের লোকজন শিপনের উপর হালিমা বেগমকে প্রেমের তিন মাসের বিবাহিত জীবনে শাররিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে শিপনকে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে ঘরের একটি কক্ষে তালা দিয়ে আটক করে রাখে।
সংবাদ পেয়ে ৯ ডিসেম্বর সোমবার শিপনের পরিবারের লোকজন বাবা মা ময়মনসিংহ থেকে আসলে স্থানীয় কিছু শালীসগনের সিদ্বান্তমোতাবেক হালিমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে কাবিননামার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দাবী করে শিপনের বাবা মিলনকেও আটক করে রাখে । ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে শিপনের মা শিল্পী বেগমকে টাকা আনার জন্য তাদের দেশের বাড়ি মযমনসিংহ পাঠানো হয় । হালিমা বেগমের বর্তমান অভিভাবক ফুফু ফাতেমা বেগম জানান শিপন বিভিন্ন সময়ে হালিমা বেগমকে মারধর করেছে এ জন্য হালিমাকে তার স্বামীর সংগে যেতে চায়না ,মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা হালিমার ডিভোর্স নিয়ে নিব। পক্ষান্তরে শিপন বলেন হালিমা আমার মা-বাবার সংসারে না থেকে আলাদাভাবে থাকতে চাইলে আমি তার কথায় রাজি না হলে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় । আমি আমার স্ত্রী হালিমাকে নিয়ে যেতে চাই ।
এব্যাপারে কচুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ জানান, আমি এ বিষয় জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনের ব্যত্যয় ও মানবধিকার লঙ্গন না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেছি ।
ছবিঃ শিকলে বন্ধি স্বামী শিপন ও পাশে উদ্বার করতে এসে পিতা মিলন আটক ।
Leave a Reply