কচুয়ায় অবস্থিত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩য় দিনের মত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ লুৎফর রহমানের অপসারনের দাবীতে ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে প্রথমে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানে সামনের সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে সরে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। ওই দিন শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষিত ব্যবহারিক পরীক্ষা বর্জন করে।
ছবি:১ কচুয়ায় অবস্থিত চাদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটরে প্রধান ফটকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের একাংশ
দপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্বে ৭টি দূর্নিীতির অভিযোগ এনে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ গ্রহনের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ তদন্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করে বিকেলে তালা খুলে দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান,দ্রুত তদন্ত কওে অধ্যক্ষ্যের দনীতির ব্যাবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলনে ফিরে আসবো।
ছবি:১ কচুয়ায় অবস্থিত চাদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটরে প্রধান ফটকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের একাংশ
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ বলেন,শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে অবগত হয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর চট্রগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালককে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে অধিদপ্তরে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
ছবি : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন
প্রসংগত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন কওে আসছে। শিক্ষার্থীরা জানান শিক্ষার্থরা জানান অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান কনষ্ট্রাকশন বিভাগের অবকাঠামো খাতের কাাঁচা মাল ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বাসাইকেল স্টান্ড,গেষ্ট রুম নির্মান করে। যার খরচের টাকা ভাইছার দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় ক্রয় তিনি এককভাবে কমিটি ছাড়া করে আসছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনের সময় যে পরিমান অর্থ ব্যায় করা কথা তা এককভাবে নামমাত্র অনুষ্ঠান করে খরচ দেখিয়ে বাকী টাকা ভাউছার দিয়ে তুলে নিয়েছে। তাছাড়া অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান জুলাই মাসের ৫০ দিনে ছুটি নিয়ে হজ্বব্রত পালন করতে যায়। ওই সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ডিউটি দেখিয়ে ভাতা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান বলেন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি আছে। কমিটির স্দ্বিান্ত ছাড়া কোন কিছুই কেনা হয়নি। ছাত্রদের অভিযোগ সঠিক নয়।
ছবি: ২ কচুয়ায় অবস্থিত চাদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটরে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের একাংশ।
Leave a Reply