কচুয়ায় এইচএসসিতে পাসের হার ৯৫ %,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫জন। এবছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কচুয়া উপজেলার ৯টি কলেজ থেকে ২হাজার ১শত৫৪জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২হাজার ৫৬জন কৃতকার্য হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫জন । ড.মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ অষ্টমবারের মত এবছরও শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে ।এই কলেজ থেকে ১শত ৭৪জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে সর্বাধিক ৬২জন জিপিএ-৫ পেয়ে চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে । কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো: গোলাম হোসেন বলেন শিক্ষক,শিক্ষার্থী ,অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রচেষ্টায় শতভাগ সাফল্য অর্জন সম্বভ হয়েছে। মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের অর্জন এলাকাবাসীসহ সকলের অর্জন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ জানান ভবিষ্যতে কলেজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে আমরা সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
ছবি১: কচুযার ড,মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের উল্লসিত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২শত ৫৯জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৫জন জিপিএ-৫সহ সবাই কৃতিত্বের সাথে পাস করে সেরা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান জানান আমাদের পাঠ পরিকল্পনা ,শ্রেণিকক্ষে পাঠদানসহ সকল সুবিধা শিক্ষার্থীদের অনুকুলে। সকল শ্রেণিকক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি শিক্ষক,শিক্ষার্থীসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
ছবি ২/ আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের উল্লসিত শিক্ষার্থদের একাংশ ।
উপজেলার ৩টি কলেজ শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে ।
অপরদিকে ৩টি কলেজে থেকে একজনও জিপিএ-৫ পায়নি। বিস্তারিত ফলাফলের সংবাদ :
ড.মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের ১শত৭৪জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ৬২জন জিপিএ-৫সহ পাসের হার ১০০,আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ ২শত৫৯জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৫জন জিপিএ-৫সহ পাসের হার ১০০ ভাগ,চাঁদপুর এমএ খালেক কলেজের ১শত০১জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে সবাই কৃতকার্য হয়, নিন্দপুর ড,এমকে আলমগীর স্কুল কলেজের ১শত৩৭জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১শত৩১ কৃতকার্য হয়, পাসের হার শতকরা ১০০ভাগ,সাচার ডিগ্রী কলেজের ২শত৮১জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২শত৬৮ কৃতকার্য হয়, পাসের হার শতকরা ৯৫.৩৬ভাগ, রহিমানগর শেখমুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ২শত৬৩জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২শত৬০ কৃতকার্য হয়, জিপিএ-৫ ৩জন, পাসের হার শতকরা ৯৮.৮৬ভাগ, কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ৪শত৮৭জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ৭জন জিপিএ-৫, কৃতকার্য৪শত৪২ জন, পাসের হার শতকরা ৯১.৯৯ভাগ, পালাখাল রুস্তমআলী ডিগ্রী কলেজের ৪শত০৫জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ৪জন জিপিএ-৫, কৃতকার্য হয় ৩শত৮০জন, পাসের হার শতকরা ৯৩.৮৩ভাগ, নুরুলআজাদ কলেজের ৪৭জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১জন জিপিএ-৫সহ ৪১জন কৃতকার্য হয়, পাসের হার শতকরা ৮৭ভাগ।
অপর দিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ১৩ টি মাদ্রাসার ৪শত৯৭জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১জন জিপিএ-৫সহ ৪শত ৪১জন কৃতকার্য হয়,পাসের হার ৮৯%। একমাত্র চৌমুহনী আলিম মাদ্রাসা থেকে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Leave a Reply