রা ধান কুড়িয়ে তিন নারী লিলুফা,সেলিনা ও সাজেদা বেগমের জীবিকা অর্জন করে চলছে। কৃষক ধান কাটার সময় কিছু ধান জমিতে পরে যায়। একেই ঝরা ধান বলা হয়। তিন নারীর জীবনের গল্প তিন রকমের হলেও তিনজনই জীবিকার তাগিদে ঝরা ধান কুড়িয়ে জীবিকা অর্জন করে। ধান কাটার মৌসুমের শুরুতে ঝরা ধান সংগ্রহ শুরু হয়। জমিতে আবার ধান বুনার পূর্ব পর্যন্ত ঝড়া সংগ্রহের সময়। তিন হতদরিদ্র নারী লিলু,সাজেদা বেগম ও সেলিনা বেগম এই মৌসুমে কচুয় উপজেলা চাইরার বিলে ঝরা ধান কুড়িয়ে জীবিকা অর্জন করে। সাজেদা বেগম কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর গ্রামের হাজী বাড়ির স্বামী পরিত্যক্তা । স্বামী আলমগীর ২০ বছর পূর্বে তাকে ছেড়ে চলে যাবার পর বাবার বাড়িতেই বসবাস করেন। নিঃসন্তান সাজেদা বেগম বাবার বাড়িতে একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করেন। দৈনিক ৫/১০ কেজি ঝরা কুড়িয়ে পুরো বছর অনাহারে অর্ধাহারে তার জীবন কাটে। পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের তুলপাই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী লিলু বেগম । তার স্বামী প্রতিবন্ধি। শুধু একটি ছোট ঘর ই তার সম্বল। ঝরা কুড়িয়ে অন্যের বাড়ি কাজ করে তাদের সংসার চলে। দারাশাহী তুলপাই গ্রামের হতদরিদ্র সেলিনা বেগম। তারও সংসার চলে ঝরা কুড়িয়ে । তিন হতদরিদ্র নারী বোচেঁ জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট সহযোগীতা কামনা করেছে।
ছবি: কচুয়া উপজেলার তিন হতদরিদ্র নারী ।
Leave a Reply