1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

শিক্ষক ও একাডেমিক ভবনের সংকটই কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষার অন্তরায়

  • আপডেট : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে
ছবি: কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের প্রধান ফটক পাশে জরাজীর্ণ ভবনের একাংশ।

শিক্ষক ও একাডেমিক ভবনের সংকটই কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষার অন্তরায়
নিজস্বসংবাদদাতা ॥
কচুয়ায় ¯œাতক পর্যায়ে একমাত্র সরকারি বিদ্যাপিঠ কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ । শিক্ষক ও একাডেমিক ভবনের সংকটই কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষার অন্তরায় । ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮৫-১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষে ¯œাতক শেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজটি ২০১৮ সালে পূর্ণাঙ্গরুপে জাতীয়করণ করা হয়।প্রায় ৩০ জন শিক্ষক কর্মচারীর চাকুরী আত্মীকৃত নাহওয়ায় ওই সব শিক্ষক কর্মচারীগন মানবেতর জীবন যাপন করছে। কলেজটি জাতীয়করণ হলেও বাড়েনি আধুনিক সুযোগ সুবিধা।জাতীয়য়করণকৃত কলেজটিতে ২হাজর ৫শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছে। বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদানের ক্ষেত্রে কলেজে বেশ কিছু সমস্য রয়েছে। কলেজে শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী, গবেষনাগার ও একাডেমিক ভবনের সংকট শিক্ষার্জনের প্রধান অন্তরায়।
শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য মাত্র ৩টি একাডেমিক ভবন রয়েছে। যার মধ্যে ২টি ভবনের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। জরাজীর্ণ ভবনগুলির কলাম (পিলার)অনেকাংশ ভেঙ্গে রড দেখা যাচেছ। ভবনের ছাদের আস্তর খুলে ও ফেটে ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে,অনেক সময় শিক্ষার্থীদের শরীরে আস্তর খসে পড়ছে। তাছাড়া ছাদের আস্তর খসে পড়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানিতে শিক্ষার্থীদের শরীর ভিজে যায়। জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ভবন সংকটের কারনে এইচ.এস.সির বোর্ড পরীক্ষা কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ,কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কচুয়া প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে পরীক্ষা চলাকালীন পাঠদানও বিঘিœত হয়। প্রতিষ্ঠানের আরো তিনটি টিনশেড ঘর থাকলেও ২টি টিনশেড ঘর ১৯৭৯ সালে ও ১টি ভবন ১৯৮৬ সালে নির্মিত। টিনশেড ভবনগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারনে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে কলেজ কতৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) শাহ মুহাম্মদ জাকির উল্লাহ শাজলী জানান বর্তমানে ৪০ জন শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষক ২১ জন, ১৯ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে । ২১ টি বিভাগের মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞান ২ ,গনিত শাস্ত্রে ২ ,ইসলামের ইতিহাসে ১,অর্থনীতিতে ২, ইসলাম শিক্ষায় ১,ব্যবস্থাপনায় ২,ফিন্যান্স ২, সমাজ বিজ্ঞান ১,রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১,ভূগোল ২, বাংলা ২ ,কৃষিশিক্ষা (প্রদর্শক) ১জন সহ ১৯ জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে।গুরুত্বপূর্ন এ সব পদে শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিগ্নিত হচ্ছে। আইসিটি,পদার্থ বিজ্ঞান,রসায়ন,জীব বিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা, ভূগোল, পরিসংখ্যান বিভাগে গবেষনাগার না থাকায় শিক্ষার্থীগন মান সম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে গ্রন্থাগারিকের ২টি পদই শুন্য থাকায় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থী ,অভিভাবক,এলাকাবাসী ও সুধীজন অচিরেই শুন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ, জরাজীর্ণ ভবনগুলি সংস্কার ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান করতে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে।
ছবি: কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের প্রধান ফটক পাশে জরাজীর্ণ ভবনের একাংশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার