চাঁদপুরের কচুয়ায় ১০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত
নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ চাঁদপুরের কচুয়ায় বন্যার পানিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।২৮ আগষ্ট বুধবার উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গত রবিবার থেকে পিপলকড়া,বড় ভবানীপুর, ছোট ভবানীপুর ,রসুলপুর ,সানন্দকড়া,চক্রা,ভিটা পাতা ও নেচ ছোয়া গ্রামে পানি বেড়ে অধিকাংশ বাড়ি ও বসত ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। প্রতিদিন পানি বেড়েই চলছে, রাস্তা ঘাট ডুবে বসত ঘরে পানি ঢুকে তলিয়ে যাচ্ছে। লোকজনদের রাস্তা ঘাটে বা উচু জায়গায় বসে থাকতে দেখা গেছে। মালামাল চুরি হয়ে যাবার আশঙ্কায় ২/১জন ঘরে উচু মাছা তৈরী করে থাকলেও পরিবারের কিছু সদস্য আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। খাবার ও পানির সংকট রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থগন জনান সব কিছু হারিয়ে আমরা নি:স্ব। কখন আবার বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো তা বলা মুশকিল। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ পিপলকড়া আবদুল মজিদ স্কুল এন্ড কলেজ ও জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্প খোলা হয়েছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান মুরাদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন। আবদুল মজিদ স্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয় কেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে আসছে। ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল জানান,সরকারি সহায়তার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিপলকড়া হিলফুল ফুজুল ইসলামীক সংগঠন প্রতিদিন এক বেলা রান্না করা খাবার আবদুল মজিদ স্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ৬০জনকে পরিবেশন করে আসছে। ওই সংগঠনের সদস্য মো.রাশেদ পাটওয়ারী বিত্তবানদেরকে আর্থিক সহযোগীতার জন্য ০১৮৪৬-৪৬৫৪৬৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে।তাছাড়া আল আরাফাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক মনির হোসেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়ি বাড়ি নৌকা দিয়ে শুকনো খাবার খেজুড়,মুড়ি ও কাপড় বিতরণ করতে দেখা গেছে।
বন্যায় মাঠের পাকা আউশ ধান, আমন ধানের বীজতলা ,শাকসবজি ও সব মাছের খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দিনে দিনে ওই এলাকার জনগনের দুর্ভোগ বাড়ছে।
স্থানীয়রা সরকারি সাহায্যের পাশাপশি বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছে।
Leave a Reply