কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা !
নিজস্ব সংবাদদাতা ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩২) এর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ৩১ জানুয়ারী বুধবার রাত ১২টার পর কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার পুর্বে রাবেয়া বেগম তার নবনির্মিত পাকা বাড়ির রাজ মিস্ত্রি আতিক হোসেনকে মুঠোফনে জানান আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান,রাত ১২টার পর কুয়েত প্রবাসী এরশাদ উল্লার বড় ভাই কামাল সিকদার আমাকে ফোন দিয়ে জানান এরশাদ উল্লাহর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। আমি ঘটনাস্থলে পৌছে দেখি কামাল,ফরহাদ,নাসির ও অন্যান্য লোকজন সেখানে রয়েছে ।আমি বিষয়টি কচুয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহতের বাবা-মা ও ভাই জানান, রাবেয়ার সাথে তার স্বামী এরশাদ উল্লার ভালো সম্পর্ক ছিলো। তাদের দাবী এরশাদ উল্লাহর বাবা-মা,ভাই ও বোনদের বাড়তি চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় রাবেয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ইতিপূর্বেও রাবেয়ার ভাসুর, দেবর ও শুশ^র আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপর্বে কচুয়া থানায় রাবেয়া বেগমের দায়ের করা একটি অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের শুশ^র রোস্তম আলী সিকদার জানান, কি কারনে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। পরিবারের লোকজন জানান ১০ বছর পূর্বে একই উপজেলার খিলমেহের মিয়া বাড়িতে আতিক উল্লাহর সাথে রাবেয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রাবেয়া বেগমের ২টি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছ। বড় ছেলে আবুবক্কর ছিদ্দিক পাশ্ববর্তী তিতাস উপজেলা হাফেজিয়া মাদ্রসায় পড়ালেখা করে। তার জন্য বুধবার রাতে পিঠা তৈরী করে বৃহস্পতিবার সকালে তার মায়ের পিঠা নিয়ে তিতাস যাবার কথা ছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকে রাবেয়ার ভাসুর কামাল ,দেবর ফরিদ,জামাল গাঁঢাকা দিয়েছে।
নিহতের পরিবার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্থির জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছে।
কচুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
ছবি: মৃত রাবেয়া বেগমের লাশের ছবি।
Leave a Reply