কচুয়ার সিংআড্ডায় বিয়ে করার অপরাধে শালিস বৈঠকে গৃহবধুকে মারধর ॥ ইউপি সদস্যসহ ৪জন গ্রেফতার
সুজন পোদ্দার ॥
কচুয়ায় বিয়ে করার অপরাধে শালিস বৈঠকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আকলিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার সিংআড্ডা গ্রামের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ (৩৫), জসিম উদ্দিন (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও নবীর হোসেন (৪০)। বুধবার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংআড্ডা মজুমদার বাড়িতে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
কচুয়া থানার মামলা সুত্রে ও ভিকটিম গৃহবধূ আকলিমা জানান, বুধবার দুপুরে কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ তার বাড়িতে আমাকে ডেকে নিয়ে আমার দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শালিস বৈঠক বসায়। শালিস বৈঠক চলাকালীন সময়ে ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদের উপস্থিতিতে আমার প্রথম পক্ষের ভাসুর আনোয়ারের ছেলে আলমগীর হোসেন প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে অমানবিকভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় মোত্তাক দিয়ে মারধর করে।মারধর করার সময় শালিস বৈঠকে উপস্থিত লোকজন কেউ বাধা না দিয়ে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহুত্বেই ভাইরাল হয়ে যায়। আকলিমা রাতে কচুয়া থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
আকলিমা আরো জানান প্রায় ১০ বছর পুর্বে তার স্বামী মারা যায়। মারা যাওয়ার পর আকলিমা তার মেয়ে রুমানা (১০)কে নিয়ে স্বামী আ: রহিমের বাড়িতেই বসবাস করছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রাপ্ত সম্পত্তি তার কন্যা রুমানার নামে হেবা করে দেয় আকলিম। ৫দিন পূর্বে তার মেয়ের কথা চিন্তা করে আকলিমা একই গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আলমগীরকে সবার অজান্তে কোর্টে বিয়ে করে।
কচুয়া থানার ওসি ইব্রাহীম খলিল জানান আকলিমা বাদী হয়ে আলমগীরকে প্রধান আসামী করে ইউপিসদস্য ফরিদসহ ১৭ জনকে এজহার নামীয় ও ৩০/৪০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে পেনাল কোডের সংশ্লিষ্ট ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ছবি: কচুয়ায় থানায় গৃহবধুকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য ফরিদসহ৪জন।
Leave a Reply