কচুয়ার নাহারায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা:
কচুয়ায় আদালতের নিষোধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা সরকার বাড়িতে এ দখলের ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির ভুক্তভোগী অখিল চন্দ্র সরকারের ছেলে টিটু রঞ্জন সরকার দাবী করেন,৫৬ নং নাহারা মৌজার বিএস ৯ খতিয়ান ভুক্ত দাগ নং-৪৬৩ এর ২২ শতকের অন্দরে পূর্বের অংশের ৭ শতক ভূমি পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখল করে আসছে। তার প্রতিপক্ষ একই বাড়ির প্রাণ বল্লভ সরকারের ছেলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা.পংকজ চন্দ্র সরকার আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দখলের উদ্যোগ নিলে তাতে আমি বাধা প্রদান করি। কিন্ত আমার বাধা উপেক্ষা করে ওই সম্পত্তি অংশে ডা.পংকজ গং সীমানা প্রাচীর নির্মানের পাঁয়তারা করতে থাকে। এমনি অবস্থায় আমি গত ৭ জুন চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারায় স্থিতাবস্থায়সহ শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্ত ডা.পংকজ গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে দলবল নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। এব্যাপারে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথায়ও সে কোনো কর্নপাত করছে না। সে বলে বেড়াচ্ছে তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে বাধা প্রদানকারীকে দেখে নিবে।
ওই গ্রামের মন্টু রঞ্জন সরকার ও সুকুমার সরকার সাংবাদিকদেরকে জানান, আমার দখলয়ি জায়গায় টয়লেট,খড়ের গাধা ও টিনের বেড়া রয়েছে, আমরা র্দীঘ প্রায় ৬০ বছর ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে।
এদিকে আদালতের নিষোধাজ্ঞা অমান্য কওে ক্ষমতœ প্রভাব খাঁটিয়ে জোর পূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জায়গা দখলের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময়ে শান্তি বিঘেœর ঘটান ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা রয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানান।
এ ব্যাপারে ডা.পংকজের মুঠেফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে তাঁর বাবা প্রানবল্লবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন জানান,কচুয়া হাসপাতালের ডা.পংকজসহ তাঁর বাবা আমাকে দেয়ালের নির্মান বিষয়টি অবহিত করলে আমি সরকারি রাস্তার অংশ ৪ ফুট ও টিটু রঞ্জন সরকারের দখলীয় সম্পত্তি বাদ দিয়ে দেয়াল নির্মান করা জন্য বলেছি। তাঁরা আমার কথা অমান্য করে সরকারি রাস্তার অংশে ও টিটু রঞ্জন সরকারের দখলীয় সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মান করেছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কচুয়া থানা অফিসার ইব্রাহীম খলিল জানান, আমি এবিষয়টির সর্ম্পকে অবগত না ।
Leave a Reply