কচুয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৯৬ ভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৩শত৮০জন।৮ জানুয়ারি বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে ৯টি কলেজ থেকে ২হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১হাজার ৯শত ৭০জন পাশ করেছে।।ড.মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজ থেকে ২শত৫২জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৬২জন জিপিএ-৫সহ ২শত৫১জন কৃতকার্য হয়ে এবছরও উপজেলার শীর্ষে রয়েছে। কলেজের গভনিং বডির সভাপতি এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিব আলহাজ্ব মো: গোলাম হোসেন বলেন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১১তম বছরে এসেও ড.মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজ শতভাগ সাফল্য অর্জন করে আসছে। সকল অভিভাবক ,শিক্ষার্থী ,এলাকাবাসীর সহযোগীতার কারনে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ভাল ফলাফলের পাশাপাশি মেয়েদেরকে গুনগত শিক্ষা প্রদান আমাদের লক্ষ্য। সাফল্যের ধারাবাহকতা অভ্যাহত রাখতে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২শত৮১জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ৮১জন জিপিএ-৫সহ ২শত৭৮জন কৃতকার্য হয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান জানান আমাদের ৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করার কারনে পাশের হার ৯৯% । প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিতারা আলমগীর ও ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়ের অনুপ্রেরনায় আমাদের সাফল্য অর্জন হয়েছে।
কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ ৩০১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, পাশের হার ৯৯%। শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ১৬৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৫৮জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬জন, পাশের হার ৯৬%। সাচার ডিগ্রি কলেজ ২৯৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৬০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে৩জন, পাশের হার ৮৮%। পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ ৩৮৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৩৮৩জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০জন, পাশের হার ৯৯.৭৩%। নুরুল আজাদ কলেজ ৮২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬৪জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন, পাশের হার ৭৮%। ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজ ২৫২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫১জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২জন, পাশের হার৯৯.৬০%। আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ ২৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৭৮জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১জন, পাশের হার ৯৯%। চাঁদপুর এম.এ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৮জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬জন, পাশের হার ৯৮%। নিন্দপুর এম কে আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজ ১৬২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৬২জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন, পাশের হার ৯৬%। ।
ছবি: আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের উল্লসিত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
অপর দিকে আলিম পরীক্ষায় ৪শ’৩৬জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৩শ’৮১জন কৃতকার্য হয়। যার পাসের হার ৮৭%। তন্মধ্যে শ্রীরামপুর মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা এবং আশ্রাফপুর গনিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে ।
Leave a Reply