কচুয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ধামালুয়া গ্রামের আবদুল খলিলের ছেলে ইউসুফ(১৮) ও সিরাজ মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ (২১)কে মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় তাদের পরিবার ও এলাকাবাসী এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবী জানান। ১১ অক্টোবর সোমবার বাদী ও বিবাদীদের কচুয়া থানায় ডাকা হয়। এ সময় দুপক্ষের বহুলোক ও ঔৎসুক জনতা থানা প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে ভীড় জমায়।কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বাদী ও বিবাদীদের বক্তব্য শুনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।অভিযোগ মর্মে জানা গেছে ৭ অক্টোবার রাত সাড়ে এগারটার সময় ইউসুফ কোয়াচাঁদপুর একটি বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কামাল হোসেন কাউন্সিলরের বাড়ির নিকট পৌছলে ওই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে রাশেদ (২৮) পাশ্ববর্তী বাড়ির প্রাবসী নুরুন্নবীর ছেলে নাঈম (১৮) দলবল নিয়ে ইউসুফকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে রাস্তার উত্তর পাশে রাশেদেদের প্রজেক্টের উত্তর কোনে মুখে গামছা ঢুকিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখে। ইউসুফকে গাছের সাথে বেধে রেখে রাশেদ ও নাঈম আবদুল্লাহদের বাড়িতে যায়। আবদুল্লাহদের বাড়িতে গিয়ে আবদুল্লাহকে ঘর থেকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ নরকীয় ঘটনার পর উভয়কে ৮ অক্টোবর কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রসংগত: জানা গেছে ধামালুয়া গ্রামের আ: রশিদের বিবাহিত মেয়ে কুলছুমা তার বাবার বাড়িতে বসবাস করত।৭ অক্টোবর বেলা আনুমানিক সাড়ে এগারটার সময় কুলছুমা বেগম পাশ্ববর্তী বাড়ির তার সম্পর্কীয় চাচা মো: শাহজাহানের বাড়িতে যায়। এ সময় ওই বাড়ির ইউসুফ, আবদুল্লাহ তার পরিচয় জানতে চাইলে কুলছুমা তার বাড়ি হোসেনপুর ও এলোমেলো
কথা বলে জানায়। এতে তাদের সন্দেহ হয়।এ সময় ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আবদুল্লাহ কুলছুমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন প্রবাসী নুরুন্নবীর স্ত্রী কুলছুমার সাথে রাশেদের সর্ম্পকের কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউসুফের পিতা আ: খলিল ধামলুয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়র ছেলে রাশেদ ,নুরুন্নবীর ছেলে নাঈম ও নুরুনবীর স্ত্রী কুলছুমা বেগমসহ তিনজনএবং অজ্ঞাত ৩/৪জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ দিকে ইউসুফ ,আবদুল্লাহর পরিবার ও এলাাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান। অপরদিকে কুলসুমা বলেন আমি আমার সম্পর্কের চাচার বাড়িতে পারিবারিক প্রয়োজনে গিয়েছি। ওই বাড়ি থেকে ্ সময় আমার মোবাইল ফোনটি আবদুল্লাহ নিয়ে নেয়। কচুয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন অন্তর দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।
ছবি: মারধরে আহত ইউসুফ ও আবদুল্লাহ পাশে শাহজাহানের ছেলে রাশেদ
Leave a Reply