কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নাহারা সুত্রধর বাড়ির কালিমন্দিরের ৮ টি প্রতিমার মাথা সোমবার রাতের অন্ধকারে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে সুত্রধর বাড়ির লোকজন কালি মন্দিরের প্রতিমার মাথা ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পায় এবং পাশ্ববর্তী তেতৈয়া উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে মুসল্লিগন সকালে ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে দুটি প্রতিমার মাথা মসজিদের মিম্বরের পাশে দেখতে পায়। মসজিদের মুসল্লিগন প্রতিমার মাথা দুটি সরিয়ে বাহিরে রেখে দেয়। সংবাদ পেয়ে কচুয়া থানার ওসি মহিউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে কালি মন্দিরে ৬টি প্রতিমার মাথা ও পাশ্ববর্তী তেতৈয়া উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের বাহিরে ২টি প্রতিমার সন্ধান পায়। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের জেলাপ্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, সিআইডি ও পিবিআইয়ের তদন্ত টীমসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা জানান সুত্রধর বাড়ির পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি গৌরঙ্গ সুত্রধরের সাথে বর্তমান কমিটির সভাপতি পবিত্র সুত্রধরের ইসকন ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাছাড়া সম্প্রতি জন্মাষ্টমী উৎসবের দিন বর্তমান কমিটির সভাপতি পবিত্র সুত্রধর ও ভক্তদের সাথে সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরোধের জের ধরে ওই সময় বাক বিতন্ডা শেষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নিয়ে দুই গ্রুফের মধ্যে মতবিরোধ বিরোধের জের ধরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। চাঁদপুরের জেলাপ্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ এ সময় জেলা ,উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,নাহারা সুত্রধর বাড়ির পূজা উদযাপন কমিটিও স্থানীয় জনগনের সাথে এক মতমিনিময় সভা করেন। সভায় জেলাপ্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন মন্দির কমিটির নিজেদের মধ্যে অন্তকলহের কারনে কিছু দুস্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্ট করতে একাজ করতে পারে। আমরা তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করব। নতুন এডহক কমিটি স্বারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন সম্পন্ন করবে।মন্দিরের পাহারা নিজেদের স্বেচ্ছাসেবকগন দিবে। প্রতিমা নতুন করে বানাতে আমরা সহযোগীতা করব। অপরদিকে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন প্রতিমা যে ভাংচুর করেছে সে কোন ধর্মের অনুসারী নয়। সে সবার শত্রু। আমরা অচিরেই তাকে খুঁজে বের করব। আমরা কোন অবস্থাতে আইন শৃংখলা অবনতি হতে দিবনা। স্বারদীয় দূগাপূজা সম্পন্ন করার লক্ষে এখন থেকে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ,সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কচুয়া সার্কেল আবুল কালাম চৌধুরী,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সানোয়ার হোসেন,ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল আলম জাহাঙ্গীর ,চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ,কচুয়া উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ফনীভ’ষন মজুমদার,সাধারন সম্পাদক বিকাশ সাহা ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রানধন দেব,সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার ও স্থানীয় সাংবাদক নেতৃবৃন্দ।
ছবি: কচুয়ায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের সনাতন ধম্বালম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় পাশে ভাংচুরকৃত প্রতিমার একাংশ
Leave a Reply