কচুয়া থানা এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি ও চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গরু চুরির ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে কচুযা থানার ওসি মো: মহিউদ্দিন।১০ আগস্ট মঙ্গলবার প্রেসব্রিফিং এ তিনি উল্লোখ করেন ১ জুলাই পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী তুলপাই গ্রামের আলমগীর হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে ২টি ও ৮ মার্চ গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের মো: সেলিমের গোয়াল ঘর থেকে ৪টি গরু রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় বলে আসামী লিটন চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবান বন্দিতে জানান।
তাছাড়া ৫ জুলাই রাত ৩টার সময় পাশ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা তালুকদার বাড়িতে গরু করতে গেলে মতলব দক্ষিন ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের মো: শরিফসহ ৪ চোরকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। আটককৃত শরীফ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবান বন্দিতে জানান হাজীগঞ্জ উপজেলার এরশাদ,কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের আ: হামিদের ছেলে রাসেল মিয়া(৩৮) ,তেতৈয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির লিটনসহ সংগবদ্ধ চক্র কচুয়া ও হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে গরু চুরি করে। এ ঘটনারপর কচুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ আগস্ট কচুয়ার বিতারা গ্রামের রাসেল ও ৮ আগস্ট তেতৈয়া গ্রামের লিটনকে গ্রেফতার করে ৯ আগস্ট সোমবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।
প্রেসব্রিফিং এ তিনি আরো উল্লেখ করেন বিতারা গ্রামের রাসেল অন্যান্য আসামীদের সাথে নিয়ে গরু চুরি করে পিকআপ দিয়ে অন্যান্য গরু চোরদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। কচুয়া ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সক্রিয় সদস্য কচুয়া থানার বিতারা ইউনিয়নের রাসেল মিয়া,তেতৈয়া গ্রামের লিটন,হাজীগঞ্জের এরশাদ জাহাঙ্গীর ,শাকিব,মতলব দক্ষিনের শরীফ,চান্দিনা উপজেলার সজিবসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য চোরদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ছবি: গরু চুরির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ফাইল ছবি।
Leave a Reply