1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী হালচাল :কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন

  • আপডেট : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ১৭৭১ বার পড়া হয়েছে
ক্যাপশন: আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফাইল ছবি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীও ভোটররে মাঝে প্রচার প্রচারনার পাশাপশি দলীয় হাইকমান্ডে চলছে লবিং ও তদীরর। গুুত্বপূর্ন বাজার ,চায়ের দোকান সব জায়গায় প্রার্থীদের নিয়ে আলোচান সমালোচনা চলছে। প্রচার প্রচারনার পাশাপশি সব প্রর্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য জোর লবিং এ ব্যস্ত।
কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ
কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে রয়েছে প্রয়াত ক্কারী ইব্রাহীম (র)প্রতিষ্ঠিত উজানী মাদ্রাসা,এতিহাসখ্যাত বখতিয়ারখঁ মসজিদ,হযরত শাহপরান(র)এর মাজার। তাছাড়া বেহুলা লক্ষীন্দরের স্মৃতি বিজরিত বেহুলার দীঘি।
এই ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৫হাজার। ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২০হাজার ৭শত৮৩ জন। পুরুষ ভোটর ১০,৬৮২,মহিলা ১০,১০১জন। আসছে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় ১০জন প্রার্থী চেয়রম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবে বলে নাম শোনা যায়। এরা হল বর্তমান চেয়রম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল আলম টগর, সাধারন সম্পাদক এম.আখতার হোসেন,সহ-সভাপতি মো: সফিউল্লাহ,মাওলানা নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন মোল্লা,মো: ফারুক আহমেদ,মজিবুর রহমান মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক সরকার প্রমূখ। ।বিএনপি নেতা মো: মিজানুর রহমান পাঠান জানান এখনও আমাদের দলীয় সিদ্বান্ত আমরা ইউপি নির্বাচনে অংশ নিবোনা ,ইউপি সদস্যগনও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর । ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি জানান সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহী উদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় আমার আমলে রাস্তা,ব্রীজ কালভার্ট করেছি। প্রায় ৮০ কেটি টাকার উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পথে। করোনাকলীন সময় প্রতিটি কর্মহীন অসহায় পরিবারের নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছি। সর্বোপরি আমি জনগনের কল্যানে কাজ করেছি তাই আসছে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আবারও আমি মনোনয়ন পাব বলে আমি বিশ্বাস করি।
কাজী জহিরুল আলম টগর
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল আলম টগর বলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট আউয়াল খন্দকারের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাবেক সাধারন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। দলের দু:সময়ে সাধারন মানুষের সাথে থেকে এখনও মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি। আমি বিশ্বস করি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে সবার সাথে সমন্ময় করে একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
এম.আখতার হোসেন
কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের অধিবাসী এম.আখতার হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। এম.আখতার হোসেন বলেন আমি তৃসমূলের সাথে ছিলাম ও আছি। আমি দর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করছি। অসহায় গরীব মানুষদেও সাথে ছিলাম ভাবষ্যতে থাকব। আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি ইউনিয়ন পরিষদকে সবাইকে সাথে নিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগনের সেবা দানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো।

মো: সফিউল্লাহ
কচুয়া উপজেলার উত্তর নোয়াগাঁও গ্রামের অধিবাসী মো: সফিউল্লাহ। মো: সফিউল্লাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি । সাবেক ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: সফিউল্লাহ একপ্রাতক্রিয়ায় জানান ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। করোনাকারীন সময়ে আমার ইউনিয়নের কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করেছি। আমার ইউনিয়নের জনগনের পরামর্শে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি বিশ্বাস করি বাংলাশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়ার যোগ্যতা আমার রয়েছে। সর্বোপরি দলীয় মনোনয়নপেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত ।

মাওলানা মো: নছির উদ্দিন
কচুয়ার বরুচর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মো: নছির উদ্দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে উপজেলা ৗলামা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৮৯সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু এলাকার সব ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহী উদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় নাহারা বরুচর রাস্তার উন্নয়ন থেকে শুরু করে আমার আমলে রাস্তা,ব্রীজ কালভার্ট করেছি।দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগনের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি আদর্শ সমাজ গড়তে কাজ করবেন। তিনি আশাবাদী তাঁর দীর্ঘ দিনের দরীয় কর্মকান্ড বিবেচনা করে দল থেকে তাকে মনোননয়ন দিবে।

মো: ফারুক আহমেদ প্রধান
কচুযা উপজেলার খিড্ডা গ্রামের বাসিন্দা মো: ফারুক হোসেন প্রধান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। মো: ফারুক হোসেন প্রধান ৯১ সালে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে ৯৮ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ,২০০২ সালে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য । ২০০৬ সালে বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের আমলে বাড়ি ঘর ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। একই বছর ২৬ ডিসেম্বর আমার প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক প্রধানের কবরে হমলা করা হয়। ওই সময় একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। মো: ফারুক আহমেদ প্রধান বলেন দল করে অনেক মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আমি মনে করি সব কিছু বিবেচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবোর্ড আমাকে দলীয় প্রতীক নৌকা দিলে আমি এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে পারব।
মো: মজিবুল রহমান মেম্বার
কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামের বাসিন্দা মো: মজিবুল রহমান দুই মেয়াদে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের আমলে আমার হাত কেটে ফেলা হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা চাঁদপুরে আসলে আমি দেখা করি। তাছাড়া তেতৈয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা মামলার সময় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়। দলের দু:সময়ে আমি এলাকায় থেকে বহুবার নির্যাতিত হয়েছি। । তাই এ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মো: জসিম উদ্দিন মোল্লা
তেতৈয়া মোল্লা বাড়ির প্রয়াত আ: রব মোল্লার সুযোগ্য সন্তান মো: জসিম উদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন আমার দাদা প্রয়াত নাছির উদ্দিন মোল্লা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কচুয়া উপজেলার একজন অন্যতম সংগঠক ও ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষকে দীর্ঘ সময় সেবা দিয়েছেন। আমার প্রয়াত পিতা আ: রব মোল্লা কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমি বংশগতভাবে আওয়ামী পরিবারের সদস্য । আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বঙ্গবন্ধুর সপ্ন বাস্তবায়ন কাজ করব।
মো: ফজলুল হক সরকার
প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান বাসেদুজ্জামান বাচ্চু সরকারের ভাই মো: ফজলুল হক সরকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন তার ভাই যেভাবে মানুষকে ভালবেসে সেবা দিয়েছে তাকে এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনিও এলাকার মানুষের কল্যানে কাজ করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার