২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীও ভোটররে মাঝে প্রচার প্রচারনার পাশাপশি দলীয় হাইকমান্ডে চলছে লবিং ও তদীরর। গুুত্বপূর্ন বাজার ,চায়ের দোকান সব জায়গায় প্রার্থীদেও নিয়ে আলোচান সমালোচনা চলছে। প্রচার প্রচারনার পাশাপশি সব প্রর্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য জোর লবিং এ ব্যস্ত।
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ
কচুয়া উপজেলার সদর দক্ষিন ইউনিয়নে জন্ম বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক প্রয়াত আবদুল আউয়াল খন্দকার, এই ইউনিয়নে রয়েছে শাহী খন্দকার মসজিদ। কচুয়া উপজেলার একমাত্র ইউনিয়ন যেখানে কোন উচ্চ বিদ্যালয় নেই।
এই ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০হাজার। ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৪হাজার ৫০জন। পুরুষ ভোটর ৭৩৩০,মহিলা ৬৭২০জন। আসছে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় ৬/৭জন প্রার্থী চেয়রম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবে বলে নাম শোনা যায়। এরা হল বর্তমান চেয়রম্যান জসিম উদ্দিন লিটন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পদক লিটন মুন্সি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সৈয়দ রবিউল ইসলাম, যুবলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ খন্দকার,,সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাৎ হোসেন শিবলু ।বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পাঠান জানান এখনও আমাদের দলীয় সিদ্বান্ত আমরা ইউপি নির্বাচনে অংশ নিবেনা ।

ইউপি সদস্যগনও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্যরাও প্রচারনায় পিছিয়ে নেই।

জসিম উদ্দিন লিটন :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন। ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি জানান আমার আমলে রাস্তা,ব্রীজ কালভার্ট করেছি। করোনাকলীন সময় প্রতিটি কর্মহীন অসহায় পরিবারের নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছি। সর্বোপরি আমি জনগনের কল্যানে কাজ করেছি তাই আসছে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আবারও আমি মনোনয়ন পাব বলে আমি বিশ্বাস করি।
লিটন মুন্সি:
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পদক লিটন মুন্সি জানান তাঁর চাচা তরিকুল ইসলাম মুন্সি কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। দলের দু:সময়ে সাধারন মানুষের সাথে থেকে এখনও মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি। আমি বিশ্বস করি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে সবার সাথে সমন্ময় করে মাদকমূক্ত একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল
কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। একপ্রাতক্রিয়ায় সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল জানান সমগ্র উপজেলায় সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির নির্দেশনায় উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ছাত্রলীগকে নেতৃত্বে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হতকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি। করোনাকারীন সময়ে আমার ইউনিয়নের কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করেছি। আমাদের সদর ইউনিয়নে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়ের পরামর্শক্রমে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ চলছে। আমার ইউনিয়নের জনগনের পরামর্শে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগনের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি বিশ্বাস করি বাংলাশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়ার যোগ্যতা আমার রয়েছে। সর্বোপরি দলীয় মনোনয়নপেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত ।

নুর মোহাম্মদ খন্দকার:
কচুয়ার হোসেনপুর খন্দকার বাড়ির বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ খন্দকার । প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল আউয়াল খন্দকার বাড়ির নুর মোহাম্মদ খন্দকার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। ৯৬সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু এলাকার সব ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্ক রয়েছে।দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগনের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে মাদকমূক্ত সমাজ গড়তে কাজ করবেন। তিনি আশাবাদী তাঁর পারিবারের আওয়ামী রাজনীতির কথা চিন্তা করে দল থেকে তাকে মনোননয়ন দিবে।

শাহাদাৎ হোসেন শিবলু
ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের প্রয়াত মহিব উল্লাহর সুযোগ্য সন্তান শাহাদাৎ হোসেন শিবলু। তাঁর প্রয়াত পিতা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহন করেছিলেন। শিবুল কচুয়া আইডিয়েল স্কুলেরে একজন শিক্ষক। কলেজ জীবনে বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখা ছাত্র লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন আমি শিক্ষতার পাশাপশি মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি। আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি ইউনিয়ন পরিষদকে সত্যিকার অর্থে জনগনের সেবা দানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো।
ক্যাপশন: সদর দক্ষিন ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদেও ফাইল ছবি