শতকের ষাটের দশকের কথা। তখন মানুষের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব উপলব্ধি হয়ে উঠেনি! ফলে মানুষ তাদের সন্তানদের শিক্ষা অর্জনের চেয়ে ঘরে বাইরে কাজ করাতেই প্রাধান্য দিতো সবচেয়ে বেশি। অভাব অনটন ছিল যাদের নিত্য সঙ্গী তাদের সন্তানরা কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে পড়াশোনা করবে, একথা তখনকার মানুষ ভাবতেই পারতো না।
সে সময়কালে ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুর মহকুমার কচুয়া অঞ্চলের অবস্থা ছিল আরও বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন। একটি দুটি মাদ্রাসা ব্যতিত অত্র অঞ্চলে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এই অন্ধকারাচ্ছন্ন শিক্ষার আলোহীন অঞ্চলটিকে আলোকিত করতে আলোকবর্তিকা হয়ে হাজির হয়ে আর্ভিভাব ঘটে চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসলিম গ্র্যাজুয়েট আশেক আলী খান।
তিনি অত্র অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ওনার নিজ বাড়ির কাচারী ঘরে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে মানুষের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব, শিক্ষা সচেতনা না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করতে কিংবা কাজ ছেড়ে পড়তে পাঠাতে চাইতেন না। তখন আশেক আলী খান এবং ওনার সহোধর্মিণী সুলতানা বেগম বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং তাদের অভিভাবকদের নিকট শিক্ষার গুরুত্ব¡ তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে রাজি করাতেন।
আশেক আলী খান সাহেবের কনিষ্ঠ কন্যা নীলুফার বেগমের ভাষ্যমতে, “ওনার মা সুলতানা বেগম ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী এবং নিয়মিত করতে আটা, চিনি, ময়দা এবং সুজি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতেন। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সময়ে মেয়েরা পড়াশোনা করবে এমনটা কেউ ভাবতেও পারতো না। তাই মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে পারাটা ছিল সবচেয়ে বেশি কষ্টসাধ্য ব্যাপার ।
যখন ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলো তখন আশেক আলী খান সাহেব ওনার নিজের জমিতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড বিল্ডিং এ শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করেন এবং ০১/০১/১৯৬৬ ইং সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় নামে জুনিয়র স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠা কালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষস জনাব আশেক আলী খান সাহেব। পরবর্তীতে ০১/০১/১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৭৪ সালে এই মহান মনীষীর মৃত্যুর পর বিদ্যালয়টির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান চাঁদপুর-০১ (কচুয়া) সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর । ওনার সুযোগ্য তত্ত্বাবধান এবং হস্তক্ষেপে সৌদি আরবের জেদ্দা সংস্থা হতে বাংলাদেশের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ০৪ (চার) টি ভবনের বরাদ্দ আসে। সেই চারটি ভবনের একটি ভবন চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন গুলবাহার আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন হিসেবে স্থাপিত হয় এবং সেই সাথে একটি মসজিদ, ছাত্রাবাস ও গুরু গৃহ স্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা, বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্যারের মাধ্যমে এডিবি সাহায্য সংস্থার আর্থিক অনুদানে উক্ত ভবনটির তৃতীয় এবং চতুর্থ তলার সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়।সেই থেকে আর প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি! অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে আকৃষ্ট হয়ে দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের জন্য আসতে শুরু করে। দিন দিন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ক্যাম্পাসটির শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসটিতে স্থাপন করা হয় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি হাসপাতাল যেখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ্এলাকার সাধারন জনগনও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় সংসদ সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এম.পি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চারতলা বিশিষ্ট তিনটি একাডেমিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট একটি দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, জেলা পরিষদ চাঁদপুর এর অর্থায়নে সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বিশাল খেলার মাঠ, নীল জলরাশিতে টইটুম্বুর দীঘি এবং সবুজাভ গাছগাছালি বেষ্টিত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশকে করেছে মানসম্মত, আনন্দঘন এবং বিমোহিত।
এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালে জেএসএসি পরীক্ষায় ১৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস সহ ৮ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয় এবং ২০১৩ সালে ১৭৮ জন অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস সহ এ প্লাস প্রাপ্ত হয় ২৪ জন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ২১৫ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৮ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস প্রাপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য উচ্চতায় আসীন করে।
২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১৫৫ জন অংশগ্রহণ করে ২২ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয় এবং ২০২০ সালে ১৭৬ জন অংশগ্রহন করে ৪২ জন এ প্লাস সহ ২৬ জন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মেধাবৃত্তি পেয়ে কচুয়া উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে।
কলেজ শাখা ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৯৮ সালে এবং ৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৬ জনই কৃতকার্য হয় এবং ৫ জন শিক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস সহ এ প্লাস প্রাপ্ত হন ১৫ জন এবং ২০২০ সালে ২৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস সহ ১৭ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয়।বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখায় ৮৫২ জন এবং স্কুল শাখায় ৯০২ জন অর্থাৎ সর্বমোট ১৭৫৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আলহাজ্ব মেজবাহ উদ্দিন খান স্মারক বৃত্তি, হাছিনা আহমেদ বৃত্তি, নীলুফার বেগম বৃত্তি, ঝরিনা খাতুন বৃত্তি, কূহিনুর বেগম বৃত্তি, মমতাজ ওয়াদুদ বৃত্তি, রাজিয়া খাতুন বৃত্তি, আশেক আলী খান স্মৃতি ট্রাস্ট (স্কুল শাখা) এবং আশেক আলী খান স্মৃতি ট্রাস্ট (কলেজ শাখা) থেকে গরীব ও মেধাবীদের বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির একটি অন্যন্য বৈশিষ্ট্য ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতী/নাতনী, এতিম গরীব এবং মেধাবী তাদেরকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যায়ন করার সুযোগ রয়েছে এবং প্রতিবছর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের নিজ উদ্যোগে পাঠ্য বই ও সহায়ক বই বিতরণ করা হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক এই তিনের সমন্বয়ে যুগোপযোগী পাঠদানে পেরেন্ট টিছার এসোসিয়েশন (চঞঅ (চধৎবহঃং ঞবধপযবৎ অংংড়পরধঃরড়হ) গঠনের মাধ্যমে অভিভাবকদের শিক্ষার্থীর ফলাফলের উন্নতি অবনতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা ও আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুুনিক সব প্রযুক্তি। পুরো প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও তদারকির খাতিরে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে রয়েছে ০২ টি সুবিশাল অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব।এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে.সততা স্টোর.ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব,.সাহিত্য ক্লাব,বিতর্ক ক্লাব,বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ক্লাব
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ৩২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক ও শিক্ষিকা। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি যুগোপযোগী শিক্ষা দানের মাধ্যমে গড়ে তুলছেন আগামীর যোগ্য প্রজন্ম। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক সুলতানা খানম কচুয়া উপজেলা পরিষদে বর্তমানে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি ১৯৯৮ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে প্রভাষক হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগ দান করেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মিজানুর রহমান শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ ইং সালে পরপর তিন বার কচুয়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন এবং সনদ ও ক্রেষ্ট গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে চাঁদপুর জেলা পাঠক ফোরাম আয়োজিত “গুণীজন সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান স্বরুপ সনদ ও ক্রেষ্ট গ্রহণ করেন। সম্প্রতি, শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি অর্জন করেছেন, শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড সহ আরও অসংখ্য পুরষ্কার। ২০১১ সালে এইচ এসটিটিআই (ঐঝঞঞও) কর্তৃক মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, শিক্ষা ভবন ঢাকায় আয়োজিত “এডুকেশনাল এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট” প্রশিক্ষণ কোর্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (স্কুল শাখা) উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ ও ২০১৯ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (কলেজ শাখা) উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (কলেজ শাখা) জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। জাতীয় দিবস এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে বহু পুরষ্কার অর্জন করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম অক্ষুন্ন রাখছেন। এপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করে থাকে। বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিগত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনার পর অধ্যক্ষ মহোদয় ও শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগীতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন্ন পাঠদান বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত কল্পে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শিক্ষার আলোহীন এই অঞ্চলটিতে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ষাট বছরেরও অধিক সময় ধরে আলো জ্বেলে আসছে। ষাটের দশকে যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষ খুঁজে পাওয়া ছিল দুস্কর, সেখানে শিক্ষার আলোয় আলোকিত এঅঞ্চলের প্রতিটি পরিবার। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ শুধু দেশে নয় বিদেশেও দক্ষতা ও সুনামের সাথে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রখে আসছে। এই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক অনেকদূর, আগামীর কর্ণধারদের কল্লোলে মুখরিত হোক আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গন। সর্বজনের ধারনা আধুনিক যুগপযোগী শিক্ষার জন্য ” আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ আধুনিক শিক্ষার জন্য অনুকরনীয় ।
প্রতিবেদক প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র ;কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কচুয়া বার্তার সম্পাদক মো: আলমগীর তালুকদার
Leave a Reply