নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের অন্যতম রোল মডেল বাংলাদেশ। যার অন্যতম উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারও দু’জন মহীয়সী নারী। বহুকাল থেকেই এ দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীদের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভুমিকা রেখেছে চার নদীর আর্শিবাদপুষ্ট নদীবিধৌত চাঁদপুরের নারীরা।
বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী অধ্যাপিকা চিত্রানিভা চৌধুরী (নিভাননী রায় চৌধুরী) চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। শুধু তাই নয়, এদেশের নারী সাংবাদিকতার প্রতিকৃৎ বেগম নূরজাহান, চলচ্চিত্র জগতের প্রথম নায়িকা জহরত আরা খুকু, দেশের প্রথম নারী পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত আইজিপি রওশন আরা বেগম, প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রীর ডা. দীপু মনি এমপি, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথম নারী চিত্রশিল্পী ড.ফরিদা জামান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সৈয়দ বদরুন নাহার চৌধুরীর চাঁদপুর জেলার কৃতিসন্তান।এবার চাঁদপুরের ইতিহাসে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করলেন বেগম অঞ্জনা খান মজলিস।
২ জানুয়ারি শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন। তিনি চাঁদপুরের ২১তম জেলা প্রশাসক। গত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ দেশের ১১টি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর আগে চাঁদপুরের প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে শামসুন্নাহার বিপিএম, পিপিএম দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
চাঁদপুরের ২১তম জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করা বেগম অঞ্জনা খান মজলিশ এর আগে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব পদে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে ২২তম বিসিএস প্রশাসনের-এর মাধ্যমে চাকরিতে যোগদান করেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং পরবর্তীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
অপরদিকে চাঁদপুরের বর্তমান ডিসি মো. মাজেদুর রহমান খানকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব করা হয়েছে। গত ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ পান মাজেদুর রহমান খান।
উল্লেখ্য, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকই সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিসিরা জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো তদারকি করেন। এছাড়া সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করেন।
Leave a Reply