কচুয়া উপজেলা পরিষদের (সাময়িক বরখাস্ত)চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের শুনানী হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: মিজানুর রহমান এ শুনানী গ্রহন করেন। তদন্ত কালীন সময় চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: মিজানুর রহমান বিবাদী মো: শাহজাহান শিশির ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতানা খানম ,শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরজাহান বেগম, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: আলমগীর তালুকদার,বিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রিয়তোষ পোদ্দারের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। সাক্ষাতকার শেষে তিনি ঘটনাস্থল উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নির্মানাধীন কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে জানান প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনন্ত ট্রের্ডাস নির্মানাধীন ভবনে নিন্মমানের মালামাল পাথর ,সিলেকশন বালু ,সিমেন্ট ব্যবহার করেছে। তাছাড়া রাতের অন্ধকারে ঠিকাদারের লোকজন মানুষের অজান্তে ভবনের কাজ করেছে ফলে ভবনের একটি পিলার এখনও বেঁকে আছে। তদন্তের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত সুলতানা খানম,নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ ,উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রসংগত : কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের সময় বিদ্যালয়ের নিন্মমানের কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁঁদপুর অঞ্চলের উপসহকারি পকৌশলীর সাথে অনভিপ্রেত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপ-সহসকারি প্রকৌশলী নুর আলম কচুয়া থানায় ১৯ জুলাই একটি মামলা দায়ের করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ২৩ জুল্ইা কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান শিশিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
ছবি: কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করছেন চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ
Leave a Reply