কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়-হায়াতপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শেষে বিয়ের পিড়িতে নারায়নগঞ্জের মেয়ে অন্তরা। প্রেমিক শম্ভু সরকারের বাড়ি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়হায়াতপুর। ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নারায়নগঞ্জের চাষারা এলাকার লিটন সরকারের কলেজ পড়–য়া মেয়ে অন্তরা সরকার পরিবারের কাউকে না বলে বিয়ের দাবীতে নারায়নগঞ্জ থেকে তার প্রেমিক কচুয়া উপজেলার বড়-হায়াতপুর গ্রামের সরকার বাড়ির পরেশ সরকারের ছেলে শম্ভু সরকারের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে। এসময় শম্ভুর ঘরে লোকজন না থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মানিক হোসেন একই বাড়ির গ্রাম পুলিশ সুনীল সরকারের গৃহে মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়। এসময় উৎসুক জনতা মেয়েটিকে একনজর দেখার জন্য ছেলের বাড়িতে ভীড় জমায়।
ছবি: কচুয়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অন্তরা অবস্থানের একাংশ।
অন্তরা সরকার সাংবাদিকদের জানান, তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ চার বছর ধরে শম্ভু সরকার সম্পর্ক করে আসছে। সম্প্রতি শম্ভুকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে সে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে এবং সে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। শম্ভুর কোন প্রকার খোঁজ খবর না পেয়ে আমি বিয়ের দাবীতে তার বাড়িতে ১৭ নভেম্বর থেকে অনশন করে। এসময় মেয়েটির হাত ব্যাগে কিছু ঘুমের ওষুধের খালি পাতা এবং তার পরিবারকে লেখা একটি চিঠি পাওয়া যায়।ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটি ঘুমের বড়ি খেয়ে খেয়েছে। সংবাদ পেয়ে ওই দিন বিকেলে কচুয়া থানা পুলিশ মেয়েটিকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করিয়ে দেয়। একদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৮ নভেম্বর রাতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বর শম্ভুর বাড়িতে হিন্দু ধর্ম মতে পুরোহিতের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক হোসেনের উপস্থিতিতে শম্ভু ও অন্তরার বিয়ে সম্পন্ন হয়।এলাকাবাসী জানান শম্ভু ইতিপূর্বে একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছে,অন্তরার সাথে শম্ভুর বিয়ের পর তাদের জীবন যেন ভাল ভাবে কাটে এটাই এলাকাবাসী প্রত্যাশা।
Leave a Reply