1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩১৬৪ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গাদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ছিল বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদলতে (আইসিসি) স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য। তারা সেখানে হত্যা, গণকবর, গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।এক ভিডিও বার্তায় প্রাইভেট মিও উইন তুন বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে আমার কমান্ডিং অফিসারের নির্দেশ ছিল ‘যাকে দেখবে তাকে গুলি করবে’।
এই সেনাসদস্য বলেন, একটি সেল টাওয়ার এবং একটি সেনাঘাঁটি কাছে তিনি ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা এবং তাদের গণকবরে সমাহিত করেছেন।
পার্শ্ববর্তী একটি টাউনশিপে কাছাকাছি সময়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরেক সদস্য। প্রাইভেট জ নায়েং তুন বলেন, তিনি এবং তার সঙ্গীরা মিলে উপরের কর্মকর্তাদের নির্দেশে একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করেছেন।তিনি বলেন, আমাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, ‘শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, যাকে পাবে তাকেই হত্যা করবে’। প্রাইভেট জ নায়েং তুন বলেন, আমরা প্রায় ২০টি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। গণকবরে মৃতদেহ সমাহিত করার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
এই প্রথম মিয়ানমারের কোনও সেনাসদস্য এ ধরনের অপরাধের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযান চালিয়েছে। যদিও বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ।এদিকে ফরটিফাই রাইটস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই স্বীকারোক্তির ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুই সৈনিক কোর্টের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে ভবিষ্যতে মামলায় কাজ করবে। আইসিসির বিভিন্ন ধরনের সাক্ষী সুরক্ষার (উইটনেস প্রটেকশন) নিয়ম আছে এবং তার অধীনে এ ধরনের সাক্ষীদের সব ধরনের সুরক্ষা দেয়া হয়।
সুত্র: দৈনিক জনকন্ঠ অনলাইন সংস্করণ
456

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার