কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের সাদিপুরা চাঁদপুর গ্রামের জাকির হোসেনের চুরি হয়ে যাওয়া গরু শুক্রবার উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে বৃস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে,দাড়িয়া হায়াতপুর মাঠ থেকে জাকির হোসেনের দুধওয়ালা গাভী হারিয়ে যায় । জাকির হোসেন বাড়িতে না থাকায় তার চাচাতো ভাই সোলাইমান তার আত্মীয় দরিয়া হায়াতপুরের সাখাওয়াত সহ গরু খুঁজতে কড়ইয়া আসলে জানতে পারে দুজন লোককে দিনের বেলা ওই এলাকা দিয়ে একটি গরু নিয়ে যেতে দেখেছে। রাতের বেলা দরিয়া হায়াতপুরের সাখাওয়াতের মাধ্যমে কচুয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড জাহাঙ্গীর মোল্লা কাউন্সিলর গরুর মালিকদের জানান গরু পাওয়া গেছে তবে এ ক্ষেতে ১০হাজার টাকা দিয়ে গরু নিতে হবে। অগত্যা গরুর মালিক রাতের বেলা টাকা জোগার করে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার নিকট তার আত্মীয় কোয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ফারুকের মেকাবিলায় ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয়। টাকা লেনদেনের পর জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার পাঠানো গরু ডুমুরিয়া নাঈম জর্দার বাড়ির দক্ষিন বিল হয়ে সাদিপুরা চাঁদপুর যাবার সময় কড়ইয়া গ্রামের হাজী সফিকুল আলম মাষ্টারের ছেলে আবু সাইদ সোহাগ দলবল নিয়ে গরু সমেত একজনকে আটক করে ফেলে । বাকি দুজন পালিয়ে যায়। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় গরুর মালিক সোহাগের নিকট গরু রেখে বাড়ি চলে যায়। পরদিন শুক্রবার দুপুরে সে গরু নিয়ে বাড়ি চলে যায়। গরুর মালিক জাকিরের স্ত্রী আয়েশা বেগম সাংবাদিকদের জানান আমি দশহাজার টাকা দিয়ে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার নিকট থেকে গরু ছাড়িয়ে আনলাম। গরুর চোরের বিচার হলনা উল্টা আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে গরু ছাড়িয়ে আনলাম ,আমি গরু চোরের বিচার চাই। তিনি আরো বলেন বাসাবাড়িয়া গ্রামের আশেক আলী ছেলে ইব্রাহীম বুধবার সকালে ওই বিলে আমার ্গরু হাতে করে নিয়ে যাবার সময় আমি দেখতে পেলে সে গরু রেখে চলে যায়। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে (০১৮২৫-৯৪৫৬২০)বাারবার চেষ্টা করলেও সে তার ফোন রিসিভ করে নাই।
ছবি : কচুয়ার কড়ইয়া ইউনিয়নের চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের একাংশ
Leave a Reply