কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্লাহ (অলি)’র প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম । রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর গ্রামে ইসহাকের পারিবারিক বিরোধ মিমাংসার লক্ষ্যে আমি গত ৭ জানুয়ারি বুধবার রাতে দোঘর গ্রামে যাই। এসময় দোঘর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ইসহাক প্রধান ও একই গ্রামের মোখলেছ মাঝির ছেলে শরিফুল ইসলামের পরিবরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি সংগঠিত হয়। বিষয়টি আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি কচুয়া থানার ওসিকে অবহিত করিএবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালুকে বিষয়টি সমাধানের জন্যে দায়িত্ব প্রদান করে স্থান ত্যাগ করি। পরদিন ৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওসি ওয়ালীউল্লাহ আমার সম্মান হানির জন্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে অভিযোগ নিয়ে ইসহাককে প্রধান আসামী করে এবং আমাকে দ্বিতীয় আসামী করে করে কচুয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে। ভাইসচেয়ারম্যান মাহবুব আলম আরো বলেন, বিষয়টি সঠিক তদন্ত না করে তড়িগড়ি করে ওই দিনই উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাকে জনসম্মূখে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা নেওয়া হয়েছে। অচিরেই কচুয়া থানার বর্তমান ওসির প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
অন্যথায় জনগনের চাহিদা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও তিনি জানান।
এব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ (অলি) বলেন, বাদীর এজাহার মোতাবেক আইন-আনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এসময় কচুয়া প্রেসক্লাবের আওতাধীন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply