কচুয়ায় শিকলে বন্ধি ছেলে ও আটক পিতাকে ৫ দিন পর উদ্বার করেছে থানা পুলিশ। ১১ ডিসেম্বর বুধবার সংবাদ পেয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালি উল্লাহ ও এসআই মো: মনিরুজ্জামান ভুইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির একটি ঘরে আবদ্ব অবস্থায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রামসোনা গ্রামের মিলন মিয়া ও তার ছেলে শিপনকে উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।
ছবি: কচুয়ার খিলায় শিকলে বন্দি জামাই ও আটক পিতা
জানাগেছে, শনিবার রাতে শিপন তাঁর বিবাহিতা স্ত্রী হালিমা বেগমকে নিতে তার শশুর বাড়ি উপজেলার খিলা গ্রামে আসে। হালিমা বেগমের পরিবারের লোকজন শিপনের উপর হালিমা বেগমকে শাররিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে শিপনকে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে ঘরের একটি কক্ষে তালা দিয়ে আটক করে রাখে। সংবাদ পেয়ে সোমবার শিপনের বাবা মা ময়মনসিংহ থেকে আসলে হালিমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে কাবিননামার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দাবী করে শিপনের বাবা মিলনকেও আটক করে রাখে । মঙ্গলবার সকালে শিপনের মা শিল্পী বেগমকে টাকা নিয়ে আনার জন্য তাদের দেশের বাড়ি মযমনসিংহ পাঠানো হয়। কচুয়া থানার অফিসার ইনচর্জ মো: ওয়ালি উল্লাাহ জানান যেহেতু এটি তাদের পারিবারিক বিষয় তাই পারিবারিকভাবে তাদের বিষয়টি সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত ঃ শিপন ও হালিমার মধ্যে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার পর দুপক্ষের পারিবারিক সম্মতিতে নারায়নগঞ্জের বক্তাবলী এলাকায় শিপনের পিতার ভাড়াটিয়া বাসায় ১৯ সেপ্টেম্বর -২০১৯ খ্রিঃ শিপন ও হালিমার বিবাহ সম্পন্ন হয়।
Leave a Reply