বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কচুয়ায় শেষ হল সনাতন ধম্বাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গপূজা । কচুয়া উপজেলার ৪১ টি শারদীয় দুর্গমন্দিরে ৩ অক্টোবর বোধনের মাধ্যমে দুর্গোৎসব শৃরু হয়। ৮ অক্টোবর দশমী পূজার দিনে ভক্তবৃন্দের দেবীর চরনে পূজা অর্চনার মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপি শারদীয় দুর্গা উৎসব শেষ হয়। অসুর বিনাশিনী, শান্তি প্রদায়িনী দশ হস্ত ধারিণী দেবী দুর্গার চরণে মহাদশমীর দিনে ভক্তবৃন্দ পরম শ্রদ্ধার সাথে অঞ্জলি প্রদান করে সংসারের সুখ ও শান্তি কামনা করে।
ছবি: সাচারে দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড,মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় করইশ পূর্বপাড়া দুর্গা মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দ দশমী বিহিত পূজা শেষে পুতঃপবিত্র মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ করে।
সোমবার সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড,মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি কচুয়া পৌরসভার করইশ, সাচার সহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন এবং সনাতন ধর্মম্বলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় বিভিন্ন দুর্গামন্দিরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
দুর্গোৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান শিশির,পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন,উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সনতোষ চন্দ্র সেন,সহসভাপতি শিবুলাল সাহা,সাধারন সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র সাহা, প্রধান শিক্ষক বটু কৃষ্ণ বসু প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন করইশ মন্দির কমিটির সভাপতি রতন ভৌমিক ও সাধারন সম্পাদক ক্ষিতিষ চন্দ্র প্রমূখ। মঙ্গলবার দপুর থেকে রাত ৮টায় সকল মন্দিরে প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের সাথে আনসার বিডিপি মেতায়েন ছিল।
ছবি: কচুয়া পৌরসভার কড়ইশ মধ্যপাড়া দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা বিসর্জনের একাংশ
Leave a Reply