কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আবিদুর রেজা মিয়া আর বেঁচে নেই (ইন্না…..রাজিউন)। তিনি ২১ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় ঢাকার ধানমন্ডি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
তিনি ১ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ বহুগুনগাহী রেখে গেছেন। এদিকে ঢাকা ধানমন্ডি ও দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল দাউদকান্দিতে দু’দফা জানাযা শেষে ওই দিন বাদ মাগরিব তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ী চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হরিপুর দর্জি বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক খোরশেদ আলম সিকদারের পরিচালনায় স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ একেএম শহিদুল ইসলাম, বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইসহাক সিকদার, কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শহিদ দর্জি, কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান পাঠান, মঞ্জুর আহমেদ সেলিম, দাউদকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মহিউদ্দিন মজুমদার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও মরহুমের একমাত্র পুত্র মাহাবুবুর রহমান দর্জি প্রমুখ। মরহুমের জানাযা নামাজ পড়ান হরিপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল মবিন।
বিএনপি’র বর্ষীয়ান এ নেতা আবিদুর রেজা মিয়ার মৃত্যুতে তাঁর ছাত্র, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডাঃ শহিদুল ইসলাম, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে কচুয়ায় বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমদাদদুল হক রুমনসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মরহুমের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
আবিদুর রেজা মিয়ার মৃত্যুতে কচুয়া উপজেলাসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠানে এলাকার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহন করেন। কর্মজীবনে তিনি একজন সৎ, যোগ্য ও আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে এলাকাবাসীর নিকট পরিচিত ছিলেন।
Leave a Reply