উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের বরুচর গ্রামের আকমত আলীর ছেলে আব্দুল অহিদ সৌদি আরবে বোমা হামলার ৮ দিন পর হাসপাতালে মারা গেলেন ।
সৌদি আরবে জিজান শহরে ৩১ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয় বাংলাদেশের আবদুল অহিদ (৪৯)। ৮ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ জিজান শহরের বাদশা ফাহাদ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া অহিদের বন্ধু জাকির হোসেন জানান, ৩১ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা অহিদের কপিলের (স্পন্সর) বাড়িতে বোমা হামলা করে। কপিলের খবর নেওয়ার জন্য অহিদ ও জাকির ওই বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার সেখানে বোমা হামলা করা হয়। বোমা হামলায় অহিদ গুরুতর আহত হন। এ সময় বোমার আঘাতে কপিলের দুই সন্তান ও ভারতের কেরালা রাজ্যের এক ব্যক্তি মারা যান। আহত অহিদকে জিজান শহরের বাদশা ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় অহিদ মারা যান।
অহিদের পরিবারের লোকজন জানান, তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম পারুল আক্তার। তিনি ১২/১৩ বছর যাবৎ সেখানে কর্মরত ছিলেন।
তার পরিবারের লোকজন আরো বলেন আমরা অহিদের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি কিন্তু পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাসেদুজ্জামান সরকার ওরফে বাচ্চু মিয়া ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply