কচুয়া পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। অতীতের প্রার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচনী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এবারও যদি দল প্রার্থী নির্বাচনে যথাযথ দায়িত্বশীল ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় তবে নির্বাচনে আবারো পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই যাবে। তাই দক্ষ, যোগ্য ও সমাজহিতৈষী শিক্ষিত ও মেধাবী প্রার্থী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা ক্ষমতাসীন দলের লোকদেরকে এখন থেকেই কাজ করতে হবে। পেশি শক্তি বা বল প্রয়োগের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো সহ মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসীদের বিপরীতে যেসব প্রার্থী যোগ্য ও দক্ষতার সাথে লড়াই করতে পারবে বলে প্রতীয়মান হয় শুধুমাত্র সে সকল প্রার্থীকেই এবারের পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে। হোক সেটা মেয়র সংশ্লিষ্ট অথবা কাউন্সিলর। কারণ পৌরসভা এলাকার বেশির ভাগ ভোটারই সচেতন ও নির্বাচন বিষয়ক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাদের ব্যাপক। অযোগ্য প্রার্থীদের হাতে এ পৌরসভার হাল ছেড়ে দিলে যে উদ্দেশ্যে এ পৌরসভা গড়ে তোলা হয়েছে তার পুরোটাই বৃথা যেতে পারে।
প্রকাশ, ১৯৯৮ সালে গড়ে তোলা তৃতীয় শ্রেণির এ পৌরসভা এখন ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। পৌরসভায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। আর গ্রাম রয়েছে ১৩টি। ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৫ হাজার ৮শ’ ৩০ জন। এসব ভোটারগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে কোনরূপ অযোগ্যতা মেনে নিবে না বলে আমার বিশ্বাস। অতীতে আওয়ামী লীগ থেকে যেসব প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের অনেকেরই এলাকায় ছিলনা পরিচিতি পরিধি। নেতাকর্মীদের সাথেও ছিলনা তেমন কোন সু-সম্পর্ক। ফলে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি ওই সব প্রার্থীরা। আবার দল থেকে একের পর এক প্রার্থী নির্বাচনেও রয়েছে নানান প্রশ্ন। অতীতের ত্রুটিগুলোকে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে ও জন সম্পৃক্ততা যাচাই-বাছাই করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। এটাই পৌরবাসী প্রত্যাশা রাখে। এদিকে বিএনপি তথা জামায়াত জোট সরকারের মুষ্টিমেয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ডজন খানেক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এসব প্রার্থীর লম্বা তালিকা পৌরবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। যদি সেবার বিপরীতে বিষফোড়া তৈরি করা হয়, তবে জগধাল পাথরের মত নিরবেই সহ্য করে যেতে হবে পৌরবাসীকে। তাই সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে আসছে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামীলীগ তথা ক্ষমতাসীন দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকার পরিচয় দিতে হবে। তবেই নির্বাচনের স্বার্থকতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবেসবার কাছে।
Leave a Reply