গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীদের এখনো কৃষক হিসেবে মেলেনি প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
পুরুষ কৃষকের তুলনায় কখনও কখনও বেশি কাজ করেও মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা।
এজন্য প্রথমে শ্রম জরিপের মাধ্যমে নারী কৃষকের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন গবেষকরা।
পাবনা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে গ্রামীণ নারীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন কৃষিকাজে। শুধু তাই নয়, গৃহস্থালি কাজের অংশ হিসেবে বাড়ির পাশে ক্ষেতে সবজি চাষ, বীজ বপন, ধান কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন দেশের কৃষি অর্থনীতিতে।
বিশ্ব ব্যাংকের ‘এগ্রিকালচার ফর ডেভেলপমেন্ট’ ২০০৮ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে নিয়োজিত পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি।
পুরুষ কৃষকদের বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নারী কৃষকরা সেখানে নেই। ফলে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা থেকে। ১ কোটি ৮২ লাখ পুরুষ কৃষক কৃষি সহায়তা উপকরণ কার্ড পেলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও নারীরা তা পাননি।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প নাজনীন কবির বলেন, নারীরা সারাদিন কৃষি কাজে শ্রম দিয়েও তারা সেই মূল্যায়ন পাচ্ছে না। কৃষকরা যে ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু নারীরা সেই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গবেষক নাজনীন আহমেদ বলেন, কৃষিতে নারীরা যে অবদান রাখছে তার জন্য আলাদা একটি হিসাবের প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে নারীরা কিছুটা হলে উপকৃত হবে।
তারা বলছেন, পুরুষ কৃষকের পাশাপাশি নারী কৃষকের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে সহায়তা দিতে হবে।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে নারীরা মজুর হিসেবে কৃষিতে শ্রম দিচ্ছেন তাদেরকেও আর্থিক সুবিধা দেয়া উচিত বলে মনে করেন এ গবেষকেরা।
Leave a Reply