1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

সালাহউদ্দিনের অনুপ্রবেশে আরো তদন্ত চায় আদালত

  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫
  • ৭৯৪ বার পড়া হয়েছে

salahuddin-ahmed-bnpবিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদের অনুপ্রবেশে অধিকতর তদন্ত চেয়েছে আদালত। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল শুক্রবার বিকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের জজ আদালত পুলিশকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পরবর্তী শুনানি কবে হবে এ তথ্য এখনো জানা যায়নি।

এদিকে বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিন আহমদ জামিনে মুক্তি পেলে তিনি আপাতত দেশে ফিরবেন না। তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ ও তার আইনজীবী এসপি মাহান্তা একথা জানান।

সালাহউদ্দিন আহমদের জামিন চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা আহমদের করা আবেদনের শুনানি হয় স্থানীয় শিলংয়ের জজ আদালতে। ২২ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এ আবেদন জানান। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি জামিনের বিরোধিতা করেন। তবে বিচারক মামলার নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

আইনি হেফাজতে নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শিলংয়ের নেগ্রিমস (নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধি রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস)  হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নেগ্রিমসের চিকিৎসকেরা তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এজে এহেনগার জানান, বুকের ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় ভুগছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য গঠিত চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে হাসপাতালে রাখতে চাইছে।

শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম লিংদো নংব্রি গত বুধবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিনকে দুই সপ্তাহের জন্য আইনি হেফাজতে (কারাগারে) পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই সপ্তাহ পর শুনানির জন্য তাকে আবার আদালতে হাজির করতে বলা হয়। তবে আদালতে হাজিরের পর সালাহউদ্দিন বুকে ব্যথা অনুভবের বিষয়টি উল্লেখ করায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তার শুশ্রƒষার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর কারাগারে পাঠানোর ছয় ঘণ্টার মাথায় বুধবার রাতে তাকে আবার নেগ্রিমসে পাঠানো হয়।

১১ মে ভোরে সালাহউদ্দিন আহমদকে উ™£ান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। শিলং সদর থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। ২০ মে সিভিল হাসপাতাল থেকে নেগ্রিমসে নেওয়া হয়। নেগ্রিমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ মঙ্গলবার বিএনপির এই নেতাকে শিলং সদর থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার