বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। তারপরও যেনো ঠিক টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। একই ভাগ্য বরণ করতে হচ্ছে জিম্বাবুয়েকেও। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে এ দুদলই থাকে সব সময়। বড় দলগুলোর রাজনীতির প্যাঁচও তাই এই দুই দল নিয়ে। যার সর্বশেষটা দেখা গেছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে। প্রথম পর্বের আড়ালে বাংলাদেশ- জিম্বাবুয়েকে খেলতে হয়েছে বাছাই পর্ব। কারণ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা।
এই একই কারণে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাছাই পর্ব খেলতে হবে মুশফিকদের। ২০১৮ সালে সে বাছাই পর্ব আবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশেই। অর্থাৎ ঘরের মাটিতেই শেষ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা।
সম্প্রতি এমন তথ্যই ছড়িয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। বিষয়টি যে নতুন করে ঘটলো, তা কিন্তু নয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে তিন বছর আগেই! এতোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ বিষয়ে কোনো কথা কেনো বলেনি তা এক রহস্যই বটে। ২০১১ সালে আইসিসি যখন এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন বিসিবির সভাপতি ছিলেন মোস্তফা কামাল। যিনি বর্তমানে আইসিসির সহসভাপতি।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এমন কথা এসেছে যে, ২০১১ সালে আইসিসির সভায় এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিন তিনি। কিন্তু আর কোনো দেশ, এমনকি জিম্বাবুয়েও এ বিষয়ে কিছু বলেনি তখন। ফলে টিকেনি মোস্তফা কামালের বিরোধিতা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন যে, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাছাই পর্ব খেলা ঠেকানোর কোনো উপায়-ই নেই।
যদিও বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখনই আশা ছাড়তে চাইছেন না। তিনি জানিয়েছেন, আইসিসির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে কথা তুলবেন। ভারত-পাকিস্তানের মতো বোর্ডকে পাশে পাওয়ার চেষ্টাও চালাবেন পাপন। কিন্তু তাতে ফলাফল খুব একটা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে নিজেই সন্দিহান বোর্ড সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, আইসিসির সভায় কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে তা আর বদলানোর সুযোগ নেই। তারপরও একটা চেষ্টা তিনি করে দেখতে চান।
নাজমুল হাসানের চেষ্টায় খুব একটা ভালো ফলাফল আসবে না তা প্রায় নিশ্চিত। সুতরাং বাংলাদেশের বাছাই পর্বের ফাঁদ এড়ানোর সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ। যদিও একেবারে শেষ নয়। মাঠের খেলায় যদি মুশফিকরা ভালো পারফর্ম করেন, তবেই কেবল সরসারি মূল পর্বের টিকিট মিলবে মুশফিকদের। এখন দেখার বিষয় মাঠের খেলায় মুশফিকরা কী করতে পারেন।
Leave a Reply