জামায়াতের ঈদপূর্ণমিলণী অনুষ্ঠানে হামলা
কচুয়ায় মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ॥ গ্রেফতার-১
আলমগীর তালুকদার ॥ঁ
কচুয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঈদপূর্ণমিলণী অনুষ্ঠানে হামলা,মারধর ও বাঁধা প্রদানের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজহার নামীয় আসামী গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের আ: রহমানের ছেলে মো. এমরান (২০)কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার পৌরসভার জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি আলফাতেহা মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে পৌর বাজার, বিশ্বরোড প্রদক্ষিন শেষে উত্তর বাজার পল্টন ময়দানে সমাবেশে মিলিত হয়। বক্তাগন অচিরেই এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেজসবাহ , পৌরসভা আমীর আমিনুল ইসলাম মীর, সহ সেক্রেটারী মাওলানা আবু হানিফ নোমান,পৌরসভা মেয়র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সুমন মিয়া, সদর দক্ষিনের আমীর মাওলানা আ: সামাদ আজাদ,সাবেক জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মনির হোসেন হেলালী, মাওলানা প্রমুখ।
একই দিনে সাচার বাজার,রহিমানগর,আশ্রাফপুরসহ কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কচুয়া থানার এজহার মর্মে জানা যায় ১১ এপ্রিল বুধবার নাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর অনুষ্ঠানে বাধা ও হামলা ও মারধরের ঘটনায় গোহট উত্তর ইউনিয়নের আইনগিরি গ্রামের সেহেল রানা বাদী হয়ে শাহপরানসহ ১০জনকে এজহার নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ওসি মো. আজিজুল ইসলাম জানান এ মামলার এজহাার নামীয় বিবাদী এমরান নামে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অন্য বিবাদীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
স্থানীয়রা জানান জামায়াতের অনুষ্ঠান চলাকালে বেশ কিছু উশৃঙ্খল যুবক মিছিল দিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে পৌছে বাঁধা প্রদান ও শিবিরের সদস্যদের মারধর করেছে।
ছবি :হমলাকারীদের ছবির একাংশ।
প্রসংগত: বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান ছিল । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিছ আবু নছর আশ্রাফীর বক্তব্য চলাকালে আ: কাদের মাওলানা শাহজালালের নির্দেশে স্থানীয় আলা হযরত ইসলামী পাঠাগারের সদস্য ও আওয়ামী লীগের দোসর ১৫/২০জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে এবং জামায়াতের কয়েকজন সদস্যকে মারধর করে হামলা চালায় । ঘটনার পর থেকে সমগ্র কচুয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।ছবি :হমলাকারীদের ছবির একাংশ।
জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূর্ণমিলণী ও মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর উপর হামলার ঘটনায় কচুয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির প্রধান জানান,হামলাকারীরা বিএনপির লোক নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করা সহজ। জামায়েত বিএনপি এক সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তাদের অনুষ্ঠানে এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Leave a Reply