কচুয়ায় ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যার
বিচারের দাবী ॥ প্রতিবেশী ও স্বজনদের
কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী ও তার পরিবার। জানাগেছে ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী তাজুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে বিতারা ইউনিয়নের যোগিচাপর বাজারে তাজুল ইসলাম মনোহরী দোকান দিয়ে কোনো প্রকারে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতো। মামলা সূত্রে জানাগেছে,ব্যবসায়ীক সূত্রে যোগীচাপর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সৈয়দপুর মোড়ের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী মাসুদের সাথে তার সামন্য কিছু টাকার লেনদেন ছিলো। এ লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলাম টাকা দিলে ভয়ভীতি খুনজখমের হুমকি প্রদর্শন করে। ১০ এপ্রিল সকাল ১১টায় মাসুদ অটোরিক্সা যোগে তাজুল ইসলামের দোকানে এসে তার কাছে পাওনা টাকা দাবী করে। তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে টাকা পরিশোধ করিয়েছে বলে জানাইলে বিবাদী মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে সার্টের কলার ধরিয়া এলোপাথারি ভাবে মারধর করে শরীলের বিভিন্ন নীলা ফুলা জখম করেন। তাজুল ইসলামকে মাথায় নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে পাকা রাস্তায় উপর থেকে পেলে দেয়। এসময় গুরুত্বর আহত হয় এবং মাথার খুলি পেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটানার পর প্রত্যক্ষদর্শী পাশ্ববর্তী তেগুরিয়া গ্রামের জুলহাস ও ঘটনার সময় উপস্থিত কবির হোসেন জানান,মারধরের ঘটনার পর তাজুল ইসলামের মাথায় লীলা জখমে খুলি ফুলে যায় এবং বমি করে সঙ্গাহীন হয়ে পরে। গুরত্বর সঙ্গাহীন অবস্থায় তাজুল ইসলামকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে ১১ দিন পর ২৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় নিহতের মেয়ে কাজল আক্তার মাসুদ মিয়াকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৯/৯০ ,তারিখ ১৫ এপ্রিল। সরজমিনে গেলে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের কাছে আইনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাসুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন।
Leave a Reply