হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানির করার প্রভিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন। ২৬ নভেম্বর শনিবার কচুয়ায় সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদীন লিখিত বক্তবে বলেন, আমি অত্যান্ত দরিদ্র নিরীহ লোক। স্ত্রী ও সন্তানাদিদের নিয়ে ৬ সদস্যদের পরিবার। কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। একই বাড়ির শহিদ গংরা আমার বাড়ির অংশের কিছু সম্পত্তি ক্রয় করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রস্তাবকৃত সম্পত্তি বিক্রি করলে ঘর দরজা নিয়ে আমাকে বেকায়দায় পড়তে হবে। তাই এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রভাব প্রতিবত্তিশালী শহিদ গংরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শহিদ গংরা নানা সমস্যা সৃষ্টি করে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির করার কাজে লিপ্ত হয়। গত ৬ নভেম্বর আমার একটি গাছের ডাল কাটলে উক্ত ডাল শহিদের জমিতে পড়ে। জমিতে এ ডাল পড়াকে কেন্দ্র করে শহিদ গংরা আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে বেধম মারধর করে। তাছাড়াও আমার স্ত্রী ও মেয়েদেরকে মারধর করা সহ শ্লিলতাহানী করার চেষ্টা করে।
এ ঘটনা নিয়ে আমার মেয়ে শাহিনুরের জামাই শাহপারান (তারেক) বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের একদিন পর ১০ নভেম্বর শহিদের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি বানোয়াট মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আমার জামাই শাহপরানকেও আসামী করা হয়। পুলিশ ১২ নভেম্বর জামাই শাহপারানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অদ্যাবধিও সে জেল হাজত খাটছে। ইহা অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়যে, ৬ নভেম্বর গাছের ডাল কাটার সময় আমার মেয়ের জামাই শাহপারান আমার বাড়িতেই ছিল না। তাকে সম্পূর্ন হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। জয়নাল আবেদীন আরো দাবী করেন যে, শহিদ গংরা মামলা দায়ের করা ছাড়াও বর্তমানে জয়নাল আবেদীন গংদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় জয়নাল আবেদীন ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। জয়নাল আবেদীন তার বিরুদ্বে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ শহিদ গংদের হাত থেকে প্রানে রক্ষা পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদীনের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী আমেনা ও মেয়ে তানিয়া।
ছবি ঃ কচুয়ায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন জয়নাল আবেদীন।
Leave a Reply