কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি রাধাগোবিন্দ মন্দির ও সার্ব্বজনীন কালী মন্দিরের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে সংকুচিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ফলে ওই রাস্তা দিয়ে ১ সপ্তহ ধরে গাড়ী ও মন্দিরে মানুষ চলাচলের করতে চড়ম দূর্ভোগে পড়েছে। সুষ্ঠু সমাধান পেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও গ্রামবাসীরা।
জানাগেছে, কচুয়া-সাচার সড়ক থেকে দোয়াটি রাধাগোবিন্দ মন্দির ও সার্ব্বজনীন কালী মন্দিরের পূর্বপাশে রাস্তাটি মিলিত হয়। হঠাৎ করেই দোয়াটি প্রধানিয়া বাড়ীর নিরঞ্জন প্রধান’রা রাস্তার পাশে বাশেঁর বেড়া দিয়ে দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ওই মন্দিরে বিভিন্ন পূজাতে আসা ভক্ত ও সাধারন মানুষ চলাচলের করতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নলি গোপাল দাসসহ অনেকে জানান, দোয়াটি রাধাগোবিন্দ মন্দির ও সার্ব্বজনীন কালী মন্দিরের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটাই। মন্দিরের পাশ্বাবর্তী বসতী লোকজন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করে থাকে এই রাস্তা দিয়ে। হঠাৎ করেই নিরঞ্জন প্রধান’রা সেই রাস্তায় বেড়া দিয়ে সংকুচিত করে ফেলেছে। আমরা তাদেরকে বার বার অনুরোধ করেছি রাস্তায় বেড়া না দিতে কিন্তু তারা কারো কথা শোনেননি। সুষ্ঠু সমাধান পেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। পরে চেয়ারম্যন সরজমিনে পরিদর্শন করে এবং বেড়া উঠানোর নির্দেশ দিয়ে যান। নিরঞ্জন প্রধান’র এখনি বেড়া উঠাননি।
নিরঞ্জন প্রধান জানান,আমার বাবা দোয়াটি রাধাগোবিন্দ মন্দির ও সার্ব্বজনীন কালী মন্দিরের জাগায়টি দিয়েছেন। যে রাস্তাটি বেড়া দিয়েছি,রাস্তাটি সম্পূর্ন আমাদের জায়গার উপর দিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময় রাস্তাটি মেরামত কাজ আমি করেছি। সরকারি খাস জমি পাশে রয়েছে, মানুষ চলাচলের বাধাগ্রস্থ করেনি। মাটির রাস্তা দিয়ে বড় ধরনের গাড়ি যাতায়েত না করতে পারে তার জন্য বাঁেশর বেড়া দিয়েছিলাম। বর্তমানে রাস্তা দিয়ে সুন্দর ভাবে মানুষ চলাচল করতে পারে।
Leave a Reply