কচুয়া-ঢাকা সড়কে সুরমা সুপার পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ হতে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জগামী সুরমা পরিবহনের সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সুরমা বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে সুরমা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সালাম সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মজুমদার জানান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুব আলমের প্ররোচনায় কতিপয় নামধারী কিছু ব্যক্তি শ্রমিক পরিচয়ে ২৪ আগস্ট বুধবার কচুয়ার সুরমা কাউন্টারের কেরানী শফিকুল ইসলামকে মারধর করে কাউন্টার থেকে তাড়িয়ে দিয়ে কাউন্টার দখল করে নেয় ও প্রত্যেক বাস থেকে ২শত টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। তাছাড়া কচুয়ার বিশ^রোড এলাকায় সুরমা পরিবহনের ৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে গাড়িগুলোর ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। এঘটনার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা গামী যাত্রীদের বিকল্প পরিবনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়ত করতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম জানান, এই পরিবহনে আমার একটি বাস চলাচলের সুযোগ দিলেও নতুন আরেকটি বাস শাহরাস্তি টার্মিনাল থেকে চলাচলের অনুমতি চাইলে সুরমা সুপার বাস মালিক সমিতি আমার সাথে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে বাস চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে না। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আমার বাসগুলো থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। তাই আমার লোকজন জনসম্মূখে তাদের গাড়ির ব্যাটারি খুলে রাখে। তিনি আরো দাবী করেন, বাস শ্রমিক সংগঠনের জিবির নামের উত্তোলণকৃত টাকা বাস শ্রমিক সংগঠনের গুটি কতেক লোক দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসায় সংগঠনের অধিকাংশ শ্রমিকরা তাদের প্রতি ক্ষুদ্ধ। এ ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কেরানি শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের অন্য লোক দিয়ে জিবির টাকা আদায় করছে।
এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করে শীঘ্রই বাস চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছে।
ছবি: কচুয়ায় সুরমা পরিবহনের চলচলে বন্ধ থাকা বাস।
Leave a Reply