কচুয়ায় অসহায় হোসনেয়ারার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে কচুয়া প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ। হোসনেয়ারা কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের আকানিয়া গ্রামের বাগান বাড়ির বাসিন্দা।অভাব অনটন তাদের নিত্যসঙ্গী।হোসনেয়ারার স্বামী নজরুল ইসলাম প্রায় তিন মাস পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নজরুল ইসলামের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। হোসনেয়ারার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে শারমিন আক্তারকে (২৩) অনেক দুঃখ কষ্টে বিবাহ দেওয়া হয়েছে । ছোট মেয়ে আছমা আক্তার (২০) বিয়ের উপযুক্ত হলেও অর্থের টানা পোড়নে বিবাহ দিতে পারছেন না। একমাত্র ১৬ বছর বয়সী ছেলে রাব্বি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে দৈনিক দুই আড়াইশ টাকা রোজগার করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। এতে নূন আনতে পান্তা পুরায় অবস্থা। দোঁচালা একটি জরাজীর্ণ বসত ঘর। একটু খানি বৃষ্টি হলে জপজপিয়ে পানি পড়ে। পলিথিন টানিয়ে পানিপড়া বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হচ্ছেন। এতে এ ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়ে। এমনি অবস্থায় হোসনেয়ারার একটি ঘর পাওয়ার আকুতি মিনতি সহ তাদের কষ্ট সাধ্য জীবনের হালচিত্র তুলে ধরে ফেইজবুকে পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে পড়লে, বিষয়টি দৃষ্টিতে পড়ে কচুয়া প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের কর্মকর্তাদের। প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ হত-দরিদ্র হোসনেয়ারাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্বান্ত নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বসবাস উপযোগী একটি গৃহনির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কাজী মোকলেছুর রহমান ওসাধারণ সম্পাদক সোহেল সওদাগর জানান, আমরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে হোসনেয়ারাদের কে অতি শীঘ্রই প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যায়ে বসবাস উপযোগী একটি গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি। এলক্ষ্যেজাতীয় শোক দিবসে হোসনেয়ারার পরিবারের নিকট গৃহ নির্মাণের টিন ওকাঠসহ প্রয়োজনীয় উপকরন প্রদান করেছি।
দুঃখ কষ্ট দুর করতে প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য পরিষদের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে অভিনন্দন জানিয়েছেন হোসনেয়ারা।
ছবিঃ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
Leave a Reply