কচুয়ায় দাফনের ১৬ দিন পর আদালতের নির্দেশে জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী (৪৫) নামে একজনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।২৬ মে বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ’মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ইবনে আল জায়েদ হোসেন আমলী আদালত চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ারের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেন।এ সময় কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মো: ছানোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফৌজদারী ধারা মোতাবেক লাশ উত্তোলনে সহযোগীতা প্রদান করেন। লাশ উত্তোলন শেষে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রসংগত: কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হালিম পাটওয়ারী ছেলে জসিম উদ্দিন পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করতো। ৪ মে জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। ৫ মে একই গ্রামের ইতালী প্রবাসী আলী হোসেনে ছেলে শরীফ হোসেন জসিম উদ্দিনকে তার বাড়িতে এসে প্রবাস থেকে নিয়ে আসা উপহার সামগ্রী নিতে আমন্ত্রন জানায় । জসিম উদ্দিন ওই দিন বিকাল সাড়ে তিনটার সময় শরীফ হোসেনের বাড়িতে গেলে সেভেনআফ নামীয় কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয় । ওই কোল্ড ড্রিংক পান করে জসিম উদ্দিন অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে সেখান থেকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ মে জসিম উদ্দিন ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে মরা যায়। ওই দিন গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সনদ পর্যালোচনা করে দেখা যায় জসিম উদ্দিন মিথানল জাতীয় এলকোহল পান করে মারা যায় বলে নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় ১৯ মে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে শরীফ হোসেন মজুমদারসহ ৭ জনকে এজহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে বিবাদী করে আমলী আদালত কচুয়া চাঁদপুরে একটি মামলা দায়ের করে।
নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী ঢাকায় থাকতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমি আমার ৩ সন্তান নিয়ে একা হয়ে পড়েছি। স্বামীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম নিহতের ভাই খোরশেদ আলম পাওয়ারী সহ এলাকাবাসী জসিমউদ্দীনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
ছবিঃ কচুয়ায় কবর থেকে উত্তোলনকৃত জসিম উদ্দিনের লাশ ইনসেটে ফাইল ছবি।
Leave a Reply