কচুয়া পৌরসভার লক্ষীপুর গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সফিকুল ইসলাম গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করছে। নালিশি তফসিল ভূমি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সাবেক ৮৪ নং হালে ৯৮নং লক্ষীপুর মৌজার সি.এস খতিয়ান নং-১২, আর.এস খতিয়ান নং-১৬, বি.এস খতিয়ান নং- ১৪৮। সাবেক ২০৫ দাগ হালে ৭৩৯ দাগ, বাড়ী ২.০৫ একরের অন্দরে ১.০১ একরের অন্দরে ০.১২৬৬৫৫একর ভূমি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত তফসিলে মো. রফিকুল ইসলামের বসতবাড়ির অংশ তার সহোদর সফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক দখল করে ইমারত নির্মানের চেষ্টা করলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ কচুয়া সহকারী জজ আদালতের নিকট অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল বিবাদী সফিকুল ইসলাম গংরা আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি প্রদান করে। বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত চলতি বছরের ১২ জুন আপত্তি শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।
এদিকে ঈদের ছুটিতে আদালত বন্ধ থাকার সুযোগে স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করে নালিশি ভূমিতে সফিকুল ইসলাম গং ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে। এ অবস্থায় গত ১৭ মে রফিকুল ইসলাম আদালতের শরনাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের এডভোকেট মো. আবু তাহের তালুকদারকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করে আগামী ১১ জুনের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে সরজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। ২১ মে শনিবার এডভোকেট মো. আবু তাহের তালুকদার ঘটনাস্থল কচুয়া পৌরসভার লক্ষীপুর গ্রামে নালিশি ভূমি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাদী, বিবাদী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শফিকুল ইসলাম গংরা নালিশি ভূমিতে ১৪শত০৬ স্কয়ার ফিটে দ্বিতল ইমারত নির্মান করছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও ভবন নির্মানের বিষয়ে বিবাদী সফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার দখলীয় ভূমিতে ভবন নির্মানের কাজ করছেন বলে দাবী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে তিনি কোন সদোত্তর দেন নি।
এব্যাপারে রফিকুল ইসলাম জানান, বিবাদী সফিকুল ইসলাম গং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ভবন নির্মানের চেষ্টা করলে আমি আইনের সহায়তা নেই। এবং সফিকুল ইসলাম গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ভূমিতে ভবন নির্মান কাজ করে যাচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তিনি আরো জানান, আমি বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টম্বর ৫জনকে বিবাদী করে চাঁদপুরের বিজ্ঞ কচুয়া সহকারী সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করি। মোকদ্দমা নং-৩১৩/সন ২০২১ইং।
Leave a Reply