চাঁদপুরের কচুয়ায় অপহরনের ৫দিন পর শিশু বেলাল (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নারয়ানগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরনকারী রিপন (৩২) ও তার পিতা আলাউদ্দিন (৫৫)কে ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার লক্ষীপুরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের উচিতগাবা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ডলি বেগমের ছেলে বেলাল স্থানীয় রহিমানগর এনামিয়া লতিফিয়া আবাসিক মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের অধ্যয়নরত ছাত্র। মা ডলি বেগম প্রবাসে থাকায় বেলাল নানার বাড়ি থেকে ওই মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে লেখাপড়া করে। দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হলে ২ বছরপূর্বে ডলি বেগমের স্বামী কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার রসুলপুর গ্রামের ছাদেকুলের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর বেলা বেলালের মামা পরিচয়ে এক লোক তাকে মেলা দেখার কথা বলে বেলালকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার তার নানা আবুল হোসেন কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করে। নিখোঁজের পর ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে অপহরনকারী বেলালের নানার পরিবারের কাছে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপনের বিষয়টি কচুয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে অহরনকারীর অবস্থান নিশ্চিত করে। ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে কচুয়া থানার এসআই তরুন কান্তি,এএসআই রামু রায় আড়াইহাজার থানার সহযোগিতায় লক্ষীপুরা এলাকা থেকে শিশু বেলালকে উদ্ধার করে ও অপহরনকারী রিপন এবং তার পিতা আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা করে।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, শিশু বেলালের নিখোঁজের পর মুক্তিপনের টাকা চাওয়ার বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে অভিযোগ পাওয়ার একদিন পর আড়াইহাজার থানা পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং ঘটনার সাথে অপহরনকারী দুজনকে আটক করা হয়। বুধবার নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দিয়ে অপহরনকারী বেলাল ও আলাউদ্দিনকে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply