কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান শাহজাহান শিশির দ্বিতীয়বারের মত ২ মাস ২৬ দিন কারা বরনের পর জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মুক্তি পেয়ে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসলে জেলগেইট প্রাঙ্গনে অসংখ্য দলীয় নেতা কর্মী সমর্থক তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করলে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে তাঁর জামিন শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক পুলিশের রিপোর্ট দাখিল করা পর্যন্ত তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন। এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শাহজাহান শিশির বেরিয়ে আসার খবর কচুয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থকরা আনন্দ উল্লাশে মেতে উঠে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকাল থেকে অসংখ্য ভক্ত শাহজাহান শিশিরের জামিনের লাভের পর বিভিন্ন ইতিবাচক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রিয়নেতার আগমনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
দলীয কর্মী সমর্থকগন উপহেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে। জেল থেকে বের হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির দলীয় সমর্থকদের নিয়ে সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র বনানী বাসভবনে দেখা করেন। ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি তাঁকে জড়িয়ে ধরে সুস্বাস্থ্য কামনা করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে কচুয়ার মানুষের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান। এ দিকে শাহজাহান শিশির কচুয়াবার্তাকে জানান আমি কচুয়ার মানুষের নিকট কৃতজ্ঞ। অনেক মা ,ভাই,বোন ,আমার জন্য দোয়া করেছেন তাদের প্রতিদান আমি ভালবাসা দিয়ে ফিরিয়ে দিব। খুব সহসায় আমি আমার কচুয়া বাসীর নিকট ফিরে আসব।
উল্লেখ্য ঃ ২০২০ সালের ২০ জুলাই কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মান কাজের অনিয়মের ঘটনায় বাধা দিলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাঁদপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরে আলম শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তিনি ২০২০ সালে ২৫ আগস্ট চাঁদপুর আদালতে জামিন চাইতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে গ্রেফতারের ৩ মাস ১২ দিন পর ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভের দিনই (৭ ডিসেম্বর ২০২০) ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ঢাকার ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৫১২২০। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। ২৬ অক্টোবর জামিন পেয়ে তিনি বেরিয়ে আশার মুহুর্তে জেল গেইটে কোতয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা অপর একটি মামলায় যার নং৩৭ (৯)২১ তাঁকে শোনারেস্ট দেখিয়ে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এই মামলায় তিনি ২ মাস ২৬ দিন কারাভোগ করে বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর তিনি জামিন লাভ করেন।
ছবি: জামিন লাভের পর কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র বনানী বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের একাংশ।
Leave a Reply