কচুয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে উপজেলার গোইট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরী গ্রামের সরকার বাড়ির ফজিলেতুন্নেসা (৭০) মৃত্যু বরণ করেছে। এনিয়ে একই পরিবারের ছেলে মা ও বাবা তিনজন মারা গেল। ছেলে শাহদাত হোসেন মানিক সরকার (৪৫) , বাবা মজিবুর রহমান বাচ্চু সরকার (৮০) ও মা ফজিলেতুন্নেসা।ফজিলাতুন নেসা ৩০মে শনিবার দুপুরে মার যায়। উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা পুলিশের মাধ্যমে দাফন কার্য সম্পন্ন হয়। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সালাহ উদ্দিন মাহমুদ জানান ফজিলেতুন্নেসা অসুস্থ হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় পথে মারা যায়।মানিক সরকারের স্ত্রী, ২ ছেলে ১ কন্যা ও করোনার ঝুঁকি রয়েছে।তারা ৩০ মে ঢাকায় চলে গেছে।
পালগিরি সরকার বাড়ির মানিক সরকার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার ৪/৫দিন পূর্বে অসুস্থ হয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি এসে ১৯ মে মারা যায়। মৃত্যুর পর মনিক সরকারের করোনার নমুনা সংগ্রহ করলে তার ফলাফল পজেটিভ শনাক্ত হয়। মানিক সরকারের মুত্যুর ৯দিন পর ২৮ মে বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে বাবা মজিবুর রহমান বাচ্ছু মিয়া মারা যায়। বাবার মৃত্যুর ২ দিনের মাথায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মা ফজিলেতুন্নেসা ৩০ মে শনিবার মারা যায়।
ছবি : কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামে ছেলে,পিতা ও মায়ের পাশাপশি কবরের একাংশ
একই পরিবারের একমাত্র সন্তান শাহদাত হোসেন মানিক সরকারের মৃত্যুর পর তার বাবা ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে করোনার আতংক বিরাজ করছে।
এ নিয়ে কচুয়া উপজেলার করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৫জন মারা গেল । ১১ মে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান শিশিরের পিতা ছাইয়েদ আলী মিয়া মারা যায় ।
সন্দেহজনক করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৯ মে পালগিরি গ্রামের স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা শাহদাত হোসেন মানিক সরকার ও ১৭ মে রবিবার কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের হাফেজ জাকারিয়া সুমন ,২৮ মে পালগিরি গ্রামের মজিবুর রহমান বাচ্চু ও ৩০ মে শনিবার তার স্ত্রী ফজিলাতুননেচ্ছা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যায়।
ছবি : কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামে ছেলে,পিতা ও মায়ের পাশাপশি কবরের একাংশ
Leave a Reply