1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

চাঁদপুরের গ্রাম আদালতে এক মাসেই ২৫১ মামলা দায়ের ও ক্ষতিপূরণ আদায়

  • আপডেট : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৮৮২ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের কাজ ২০১৭ সাল হতে চলছে। তবে গ্রাম আদালতে মামলা গ্রহণ এবং নিস্পত্তির কাজ শুরু হয় ঐ বছর জুলাই মাস হতে। এ পর্যন্ত মোট ৩,৩২৬ মামলা গ্রাম আদালতে নথিভূক্ত হয়েছে এবং এরমধ্যে ৩,১৫৯ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এখানে মামলা নিস্পত্তির হার শতকরা ৯৫ ভাগ। বর্তমানে ১৬৭টি মামলা জেলার প্রকল্পাধীন মোট ৪৪টি গ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৩.৬০ টি মামলা দায়ের হয়েছে যা মোটেও আশানুরূপ ছিল না।আনন্দের বিষয় হল যে, চলতি বছরের মার্চ মাসে ৪৪টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে মোট ২৫১ মামলা দায়ের হয়েছে। এ হিসেবে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৫.৭০ টি মামলা হয়। এ অগ্রগতির পিছনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় সহায়তা দারুনভাবে কাজ করেছে। এক্ষেত্রে চাঁদপুর এবং দেশের বিভিন্ন মিডিয়া গ্রাম আদালতের প্রচার-প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাননীয় জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান জেলার প্রকল্পাধীন ৪৪টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান, সচিব এবং গ্রাম আদালত সহকারীদের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স করেছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি গ্রাম আদালত ফলপ্রদভাবে কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং বিদ্যমান নানাবিধ চ্যালেন্জ মোকাবেলার কর্ম-কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। গ্রাম আদালত গতিশীল করার জন্য তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবদের আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহবান জানান। তাই ভিডিও কনফারেন্সের ফলাফল হিসেবে মার্চ মাসেই মামলার সংখ্যা বেড়ে যায়। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং এলাকার মানুষের ন্যায়-বিচার পাওয়ার সুযোগ অবারিত থাকবে।
বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) যৌথভাবে চাঁদপুর সহ দেশের মোট ২৭ জেলায় “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে মোট ৪টি জাতীয় পর্যায়ের এনজিও সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। এদের মধ্যে ব্লাষ্ট চাঁদপুরে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভিবাজার, সুনামগন্জ ও সিলেট জেলায় ব্লাষ্ট কাজ করছে।গ্রাম আদালতে নিস্পত্তিকৃত মামলার বিপরীতে উল্লেখিত ২১ মাসে মোট ১,২৭,৫৬,১৭৭ (এক কোটি সাতাশ লক্ষ ছাপান্ন হাজার এক শত সাতাত্তর) টাকা ও টাকার সম্পদ ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায় হয়েছে যা মামলার আবেদনকারীদের মাঝে আদালতের নিময় মেনে রশিদমূলে যথাসময়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে গড়ে প্রতি মাসে ৬,০৭,৪৩৭ টাকা আদায় হয়েছে। অথচ চলতি বছরের মার্চ মাসেই আদায় হয়েছে ১২,৭২,৫০০ টাকা যা বিগত মাসের গড় আদায়ের দ্বিগুণেরও বেশী। মামলার ক্ষতিপূরণ পেয়ে বিচার-প্রার্থীগণ উপকৃত হয়েছেন এবং কেউ কেউ জীবনে নতুন আশা খুঁজে পেয়েছেন। গ্রাম আদালত অনেক ক্ষেত্রে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায় হয়ে উঠেছে।

গ্রাম আদালতে বিচার-কার্য চলছে।
গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৭৫,০০০ (পঁচাত্তর হাজার) টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তি করে থাকে। এ আদালতে ফৌজদারী মামলার ফি ১০ (দশ) টাকা ও দেওয়ানী মামলার ফি ২০ (বিশ) টাকা মাত্র। এর বাইরে এখানে আর কোন খরচ নেই। এই আদালতে পক্ষগণ নিজের কথা নিজেই বলতে পারেন। এখানে কোন আইনজীবীর দরকার হয় না। গ্রাম আদালতের বিচারিক প্যানেল মোট ৫ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় যেখানে অন্ততঃপক্ষে একজন নারী সদস্য থাকেন। গ্রাম আদালত নারী-পুরুষ সবার জন্য নিরাপদ ও ভয়মুক্ত। সাধারণ জনগণের বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধীকার নিশ্চিতকরণে গ্রাম আদালত প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছে। তাই, এর প্রচার প্রসারে আমাদের সবার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন মিডিয়া অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার