মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে ফরিদগন্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত নারী সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগন্জের ইউএনও মোঃ আলী আফরোজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারপার্সন মোছাঃ রীনা নাসরিন। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প বিষয়ক চাঁদপুরের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ বশির আহম্মেদ মনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ আলী আফরোজ বলেন, গ্রাম আদালত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলবে। আইনের একটি বিশেষ ধারায় বলা হয়েছে যে, গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত মামলায় নারী স্বার্থ জড়িত থাকলে কিংবা কোন নারী মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেলে অবশ্যই কমপক্ষে একজন নারী বিচারক থাকতে হবে। একাধীক হলে আরো ভালো। তবে গ্রাম আদালতের আইন অনুসারে যে কোন মামলায় নারীরা বিচারক প্যানেলে থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে যাতে মামলার পক্ষদ্বয় এ ব্যাপারে সচেতন হয় এবং পুরুষদের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের বিচারক প্যানেলে নারীদের নাম প্রস্তাবনায় রাখতে পারে। গ্রাম আদালতে আইনের কোন ব্যতয় ঘটানো যাবে না। বিচার ও সালিশ একই প্রক্রিয়ায় হতে পারে না।আলোচনায় নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, গ্রাম আদালতের সেবায় বিচার-প্রার্থীগণ যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে তারা আর এ সেবা নিতে পরিষদে আসবে না। এজন্য গ্রাম আদালতে বিচার-প্রার্থীদের সাথে সহযোগিতামূলক আচরণ করতে যাতে তারা আশস্ত্য হয়। গ্রাম আদালতে যারা বিচার পাওয়ার জন্য আসেন তাদের অধিকাংশই সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী। আদালতের সেবা নিশ্চিতকরণে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও আদালত সহকারীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে এবং বিচারিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
কর্মশালায় দলীয় আলোচনা সহ গ্রাম আদালত আইনের উপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৩০ জন নির্বাচিত ইউপি নারী সদস্য ও গ্রাম আদালত সহকারী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আমিনুর রহমান এবং তাকে সহায়তা করেন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
Leave a Reply