একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনের নির্বাচন বর্জন করেছে উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল।
শনিবার ১৫ ডিসেম্বর বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন সমর্থিত কচুয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি মাসুদ এলাহী সুভাষ ও সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মিন্টুর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনে সংবাদ জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি এমন সংকটাপন্ন মুহুর্তে অসাংগঠনিক, অনিয়মতান্ত্রিক, হটকারী ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ.ন.ম এহসানুল হক মিলনের পরিবর্তে মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়ায় কচুয়ার ২৪২ টি গ্রামসহ সারা দেশের জাতীয়তাবাদী মনা মানুষের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
ড. এহসানুল হক মিলনের কোন অযোগ্যতার কারণ ছাড়াই অচেনা অজানা মালেয়শিয়া অবস্থানরত একজন সাধারণ লোককে এ মনোনয়ন দেয়া হলো যার কচুয়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কচুয়ার জনগণ তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে না। গণতান্ত্রিক কোন আন্দোলনে তার কোন বিন্দু মাত্র সম্পৃক্ততা নেই। গুটি কয়েক সুবিধাভোগী বিএনপির লোকজনের কুপরামর্শে ড. এহসানুল হক মিলনকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই উক্ত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আমরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ জন্য শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোন ফল আসেনি। কচুয়ার মাটি মিলনের ঘাটি, এখানে ধানের শীষের বিজয়ে একমাত্র কান্ডারী ড. আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন।
এখন মোশারফ নামে যাকে মনোনয়ন দেয়া হলো তার সার্বিক অযোগ্যতার জন্য তাকে দিয়ে কোন ভাবেই এ আসনের বিজয় আনা সম্ভব নয়। তাই তার জন্য নির্বাচনের ব্যর্থ চেষ্টা করে উলুবনে মুক্তা ছড়াতে চাই না। তাই আমরা কচুয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সকল নেতাকর্মীর মানসিকতা পর্যালোচনা ও তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে বাধ্য হলাম।
Leave a Reply