সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আনম এহসানুল হক মিলন গ্রেফতার হয়েছে। শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ভোর রাতে চট্রগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডের “মমতাজ ছায়ানীড়” নামে একটি বাসা থেকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চাঁদপুরের ডিবি পুলিশ ও সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। রাত আড়াইটার দিকে প্রায় ১০/১২ সদস্যের গোয়েন্দা দল নগরীর চট্রগ্রামের একটি বাসায় বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ওই বাসা ঘেরাও করে। ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডের ওই বাসার মালিক শাহ আলম বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলনের বন্ধু। সকাল সাড়ে ৮ টায় তাকে চাঁদপুর এনে প্রথমে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে তাকে সকাল ১১ টায় জেলা ও দায়রা জর্জ কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টরের কক্ষে এনে রাখা হয়। কোর্ট পুলিশের হেফাজতে মিলনের সাথে তার স্ত্রী বিএনপি’র মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ তার আতœীয়দের দেখা করতে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে, মিলনের বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী এলাকা কচুয়া, চাঁদপুর সদরসহ বিভিন্ন স্থানে ২৬ টি মামলা রয়েছে। এর ভেতর একটি খুনের মামলাও আছে। ১৭ টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারি তালিকাভুক্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শফিউল আজমের আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মহ্জুর করে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মিলন এর আগে বিভিন্ন মামলায় প্রায় দেড় বছর জেল খেটে বিদেশ পাড়ি জামায়। এসময় তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগামী একাদশ জাতয়ি সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি গোপনে সম্প্রতি দেশে এসে আতœগোপন করে থাকেন। তিনি চাঁদপরু-০১ নির্বাচনী এলাকা তথা কচুয়া থেকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র টিকেটে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন।
Leave a Reply