নিজস্ব সংবাদদাতা ॥মাছ ধরার উপকরণ হিসেবে চাই,আন্তা বহুদিন যাবৎ আমাদের দেশে ব্যবহার হয়ে আসছে। অঞ্চল ভেদে চাই,আন্তা বিভিন্ন নামে ব্যবহার হয়। বর্ষা মওসুমে খাল –বিল,নদীর মোহনায় পানির নীচে মাছ চলাচলের পথে তা পেতে রাখা হয়। ফলে অনায়াসে ছাইয়ে মাছ আটকিয়ে যায় । চাই দিয়ে বড় মাছ অন্য দিকে আন্তা দিয়ে ছোট মাছ ধরা হয় । চাই আন্তা তৈরীর সাথে জড়িতদের বর্তমানে করুন অবস্থা। স্ত্রী পরিজন নিয়ে তাদের পরিবারের সবাই বর্ষার মওসুম শুরু হওয়ার আগ থেকে ছাই,আন্তা তৈরীতে ব্যস্ত থাকে। দেশীয় প্রজাতীর বিভিন্ন মাছ ধরা থেকে বড়মাছ ধরতে চাই বহুদিন থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।ছাই তৈরী করতে বাঁশ,বেত,লতা ও প্লাষ্টিক প্রয়োজন হয়। উৎপাদদিত পন্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িগতদের জীবন জীবিকা বড়ই হতাশাজনক। কারেন্ট জাল ,ভেসাল জাল ব্যবহার হওয়ায় দেশীয় প্রজাতীর মাছ বড় হওয়ার আগেই ধরা পড়ে মাছের সংকট দেখা দিতেছে। তাছাড়া খাল ভড়াট হয়ে মাছ চলাচলের অবাধ বিচরণ ক্রমান্ময়ে কমে আসছে । বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের ৯০ বছর বয়স্ক বিদ্যাসুন্দর ও প্রজনাথ বলেন আমার বংশ পরস্পরায় এ কাজ করে আসছি।বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে বড়ই কষ্টে দিনাতিপাত করছি। সংসারের নিত্য দিনের খোড়াক জোগান দিতেই হিমসিম খাচ্ছি। আমাদের প্রতি সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করছি। কচুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদুল হাছান বলেন আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারে রাখতে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের টিকিয়ে রাখা দরকার।
Leave a Reply