কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের আয়মা গ্রামে নাজমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) রাতে উপজেলার আয়মা গ্রামের মোঃ শরীফ মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগমকে শরীফ ও তার পরিবার যৌতুকের দাবীতে বেধম মারধোর করে তার বাবার বাড়ি মতলব উপজেলার কাশিমপুর সর্দার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমা বেগমকে তার বাবার বাড়ির লোকজন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে নাজমা বেগম গুরুতর আহত অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জুন) নাজমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ৪ বছর পূর্বে আয়মা গ্রামের মোঃ শরীফের সাথে আমার বিবাহ হয়। আমার স্বামী যৌতুকের জন্য প্রায় সময় আমাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে শরীফ যৌতুকের দাবীতে আমার সাথে ঝগড়া করে এক পর্যায়ে আমার মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সংগাহীন অবস্থায় আমার বাবার বাড়ির লোকজন আমাকে হাঁসপাতালে ভর্তি করে। শরীফ প্রায় সময় আমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার কথা বলে অমানবিক অত্যাচার করে। আমি এখন আমার দেড় বছরের ছেলে সন্তান নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছি। আমি থানা ও উপজেলা প্রসাশনের নিকট এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিছার দাবী করছি।
মারধর ও যৌতুকের বিষয়ে নাজমার স্বামী শরীফ বলেন, আমি তাকে রাগের বসবর্তি হয়ে মারধর করেছি কারণ তার ব্যবহার খুবই খারাপ। যৌতুকের ঘটনাটি সঠিক নয়।
ছবিঃ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নাজমা বেগম।
Leave a Reply